টানা ৫ ম্যাচে হার। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। স্মৃতি মান্ধানা, এলিসা পেরির মতো তারকারা কাজে আসতে পারছেন না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্য। এই অভিজ্ঞতা বেঙ্গালুরুর জন্য নতুন কিছু নয়।
ছেলেদের আইপিএলেও বিরাট কোহলি–এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো তারকা থাকতে এমন পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয়েছে দলটিকে। আর পরিস্থিতিটা চেনা বলেই বিরাট কোহলি ভালো করে জানেন এমন সময় দলের অবস্থা কী হয়। সে কারণেই স্মৃতি মান্ধানাদের উৎসাহ দিতে ডাকা হয়েছিল কোহলিকে। ভারত ও বেঙ্গালুরুর সাবেক এ অধিনায়কের টোটকা বিফলে যায়নি।
২০১৯ সালে আইপিএলে টানা ৬ ম্যাচে হেরেছিল বেঙ্গালুরু। কোহলি সে সময়টার অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন টানা ৫ ম্যাচে হারা মান্ধানাদের সঙ্গে। বেঙ্গালুরুর সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আমরা টানা ৬ ম্যাচ হেরেছিলাম। আমার এখনো মনে আছে ৬ নম্বর ম্যাচ হারার পর আমরা সবাই একসঙ্গে বসেছিলাম। অধিনায়ক হিসেবে আমার আত্মবিশ্বাস তখন তলানিতে ছিল।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গালুরর ক্রিকেট অপারেশন পরিচালক মাইক হেসনসহ কোচিং স্টাফের অন্যান্য সদস্যরা। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে প্রত্যেক ক্রিকেটারই কোহলির এই সেশনে ছিলেন মনোযোগী শ্রোতা।
কোহলি এ সময় ক্রিকেটারদের মাথা উঁচু করে চলতে বলেছেন, এর সঙ্গে প্রতিপক্ষকে ছাড় না দেওয়ার মানসিকতাটাও ধরে রাখতে বলেছেন, ‘যখন কোনো কিছু আমাদের পক্ষে আসবে না, আসল পরীক্ষা তো তখনই। সত্যি বলতে যদি তোমরা টানা ৫ ম্যাচ জিততে, আমি এখানে আসার জন্য ফোন ধরতাম না। এই হারগুলো তোমাদের শিখতে সাহায্য করবে। মাথাটা উঁচু রাখো, মুখে হাসি রাখো। হাসির পেছনে নিজের ভেতরে একটা আগুনও জ্বালাতে হবে। প্রতিপক্ষকে সহজে কিছু দিয়ে দেওয়া যাবে না। শেষ বল কিংবা শেষ রান করার আগপর্যন্ত ম্যাচ শেষ হয়ে যায় না। অর্থাৎ ওই শেষ রানটার জন্য সতীর্থদের নিয়ে তোমাকে লড়াই করতে হবে।’
এমন টোটকা পেয়েই কি না কে জানে, আইপিএলে কাল নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে স্মৃতি মান্ধানার দল। কনিকা আউজার ৪৬ রানের ইনিংসে ইউপি ওয়ারিয়র্জকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।