ম্যাচটা হয়েছে ইডেন গার্ডেনে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘরের মাঠ। তবে ‘হোম ভেন্যু’র পরশ ছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের জন্যও। কলকাতার বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব মোহনবাগানের মালিক বাঙালি সঞ্জীব গোয়েঙ্কাই যে লক্ষ্ণৌর মালিক!
তবে বাংলা নববর্ষের সন্ধ্যায় ম্যাচটা জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সই। সেটাও বেশ দাপটের সঙ্গেই। লক্ষ্ণৌর তোলা ৭ উইকেটে ১৬১ রান কলকাতা টপকে গেছে ২৬ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে। ইডেন গার্ডেনে লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে কলকাতার এটিই প্রথম জয়।
কলকাতার দাপুটে জয়টি এসেছে ফিল সল্টের সৌজন্যে। আজকের আগে ইডেনে কলকাতা ম্যাচ খেলেছিল হায়দরাবাদের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ৫৪ রানের ইনিংস খেলার পর খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। তবে আবার কলকাতায় ফিরেই সল্টের ব্যাটে ঝড়। খেলেছেন ৪৭ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস, যে ইনিংসে ১৪টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছয়।
সল্টের ম্যাচ জেতানো এই ইনিংসই লক্ষ্ণৌর জন্য ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’ হয়ে এসেছে। কাটা ঘা—কারণ, গত মৌসুমেও লক্ষ্ণৌর ডাগআউটে পরামর্শক ছিলেন গৌতম গম্ভীর। সেই গম্ভীর এবার কলকাতায় যোগ দিয়েছেন। আবার সর্বশেষ ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ১১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে হেরেছিল লক্ষ্ণৌ।
বিরোধী পক্ষে যাওয়া গম্ভীরকেও হারানো গেল না, আবার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হলো বড় ব্যবধানে।
এর সঙ্গে যোগ করে নেওয়া যায় ইডেনের অজেয় ধারাও। এই ইডেন গার্ডেনে এর আগে তিনবার খেলতে এসে কোনোবারই হারেনি লক্ষ্ণৌ। এবার সেটা থেমেছে বাজেভাবেই।
রান তাড়ায় নামা কলকাতা শামার জোসেফের প্রথম ওভার থেকেই পেয়ে যায় ২২ রান। আইপিএল অভিষেকের প্রথম ওভারে কোনো বোলারের সবচেয়ে বাজে শুরু এটি। অবশ্য বাঁহাতি পেসার মহসিন খান সুনীল নারাইন ও অঙ্গকৃষ রঘুবংশীকে দ্রুতই তুলে নিয়ে লক্ষ্ণৌকে ম্যাচে ধরে রাখেন।
তবে ৪২ রানে ২ উইকেট পড়ার পর সল্ট ও অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার মিলে ম্যাচটা ধীরে ধীরে কলকাতার নাগালে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত এই দুজনের কাউকেই আর থামাতে পারেনি লক্ষ্ণৌ। তৃতীয় উইকেটে দুজনে অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেন ১২০ রান, যেখানে আইয়ারের অবদান ৩৮ বলে ৩৮।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা লক্ষ্ণৌর হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৩৯ রান।
কলকাতার হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন আইপিএল নিলাম ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় মিচেল স্টার্ক। যদিও দিন শেষে নায়ক ফিল সল্টই।