১ লাখ ৩০ হাজার আসনের গ্যালারি, যার বেশির ভাগ সমর্থক ছিল স্বাগতিক ভারতের। প্যাট কামিন্সরা আগেই জানতেন, গগনবিদারী চিৎকারে ভারতের সমর্থকেরা কাঁপিয়ে দিতে চাইবে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের। ফাইনাল খেলতে নামার আগেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স বলেছিলেন, বিশাল এই সমর্থকের বহরকে চুপ করিয়ে দিতে চান!
কথা রাখতে পেরেছেন কামিন্স। ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দিতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠা দুর্দম্য ভারতের বিপক্ষে অনুজদের এই জয়ে গর্বিত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা বলেছেন, ভারতের বিপক্ষে এই জয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা।
অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ইতিহাসে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ গিলক্রিস্ট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এভাবে, ‘এই অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে খুবই গর্বিত। যে আবহে যেমন করে তারা আরেকটি বিশ্বকাপ জিতেছে, আমি এটাকে আমাদের ক্রীড়া ইতিহাসের অন্যতম সেরা জয়ের স্বীকৃতি দেব।’
২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৯ রানের ইনিংস খেলা গিলক্রিস্ট এরপর যোগ করেছেন, ‘এখন সময় উদ্যাপনের।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি দলের এমন জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এক বিবৃতিতে। তিনি বলেছেন, ‘প্যাট কামিন্স ও তার দলের আরেকটি অসাধারণ অর্জন এটা। তারা কঠিন কন্ডিশনে টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত খেলা একটি দলের বিপক্ষে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার জেতা ছয়টি ওয়ানডে বিশ্বকাপের মধ্যে এটিকেই এগিয়ে রাখছেন হকলি। কেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘এ ম্যাচের আগে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকা ভারতকে তাদের সমর্থকদের সামনে হারানোটা খুব সহজেই অস্ট্রেলিয়ার আগের পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।’