মাতিশা পাতিরানা চোটে না পড়লে হয়তো এই ম্যাচে তাঁর খেলা-ই হতো না। নুয়ান তুষারা খেললেন, আর বল হাতে নেওয়ার পর চার বলের মধ্যেই তুলে নিলেন হ্যাটট্রিক!
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তুষারার হ্যাটট্রিকে উড়েছে নাজমুল হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়ের স্টাম্প, মাহমুদউল্লাহ আটকেছেন এলবিডব্লুতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এ নিয়ে হ্যাটট্রিক হলো ষষ্ঠবার।
শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেটে ১৭৪ রান তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ যে এমন ভয়ানক ঝড়ের মুখে পড়বে, অনুমান করা যায়নি তুষারার প্রথম বলেও। অফ স্টাম্পের বাইরে নাজমুলকে দিয়েছিলেন ফুলটস। কিন্তু পরের ডেলিভারিই করলেন ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে ভেতরে ঢোকানো খানিকটা নিচু হওয়া বল নাজমুলের ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানে স্টাম্পে।
পরের বলে হৃদয়ের স্টাম্প রীতিমতো উপড়েই যায়। গুড লেন্থে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল পড়তেই পারেননি হৃদয়। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ নেমেছিলেন হ্যাটট্রিক ঠেকাতে। কিন্তু অনেকটা আগের ডেলিভারিটিই করেন তুষারার, মাহমুদউল্লাহর পায়ে লাগতেই আঙুল তোলেন আম্পায়ার। যা পরে রিভিউ নিয়েও পাল্টাতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান বোলার তুষারা। প্রথমজন ছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা (২০১৭ সালে কলম্বোয়), যার সঙ্গে অ্যাকশনে মিল আছে তুষারার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হ্যাটট্রিকটি ব্রেট লির। অস্ট্রেলিয়ার গতি তারকা যে কীর্তি গড়েছিলেন ২০০৭ বিশ্বকাপে, কেপটাউনে। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম হ্যাটট্রিকই ছিল সেটি।
২০২১ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে হ্যাটট্রিক করেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান নাথান এলিসও। এ ছাড়া ভারতের দীপক চাহার (২০১৯ সালের নভেম্বরে নাগপুরে) আর আফগানিস্তানের করিম জানাতও হ্যাটট্রিক করেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। এর মধ্যে জানাতের হ্যাটট্রিকটি ছিল গত বছরের জুলাইয়ে, এই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেই।