জয়ের সুবাস নিয়েই ওভাল টেস্টের তৃতীয় দিনটা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। ১০ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জিততে যে ১২৫ রান দরকার ছিল লঙ্কানদের। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে চতুর্থ দিনটা শুরু করা শ্রীলঙ্কার ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই। ২১৯ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৮ উইকেটে। প্রথম দুই টেস্টেই হেরে সিরিজ খোয়ানো শ্রীলঙ্কা সিরিজটা শেষ করল একটু মাথা উঁচু করেই।
আর তাতে ওভালে শ্রীলঙ্কার টেস্ট রেকর্ড ১০০ ভাগ নিখুঁতই রইল। এই মাঠে এর আগে একবার খেলে সেই ম্যাচে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৮ সালের যে ম্যাচটি পরিচিত মুরালিধরনের টেস্ট বলেই। সেই ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক (৭/১৫৫ ও ৯/৬৫)।
২৬ বছর পর ওভালে শ্রীলঙ্কার আরেকটি টেস্ট জয়ে অবিসংবাদিত নায়ক পাতুম নিশাঙ্কা। ইংল্যান্ডের অফ স্পিনার শোয়েব বশিরকে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেই শ্রীলঙ্কাকে জয় এনে দেওয়া ওপেনার খেলেছেন ১২৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ১২৪ বলেই টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেললেন নিশাঙ্কা। ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের আগের সর্বোচ্চ ছিল ১০৩। টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ৫১ বলে ৬৪ রান করেছিলেন নিশাঙ্কা।
গতকাল রান তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভারেই ১ উইকেটে ৯৪ রান তুলে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। নিশাঙ্কা ৫৩ ও কুশল মেন্ডিস ৩০ রান নিয়ে শেষ করেছিলেন দিন। আজ দিনের পঞ্চম ওভারে কুশলকে (৩৭ বলে ৩৯) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে একটু আশা দেখিয়েছিলেন পেসার গাস অ্যাটকিনসন। ম্যাথুসকে নিয়ে ১১১ রানের জুটি গড়ে সেই ইংলিশদের সেই আশার সমাধি গড়েছেন নিশাঙ্কা। ১০৭ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ছোঁয়া নিশাঙ্কার পুরো ইনিংসটি সাজানো ১৩টি চার ও ২ ছক্কায়।
১০ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা সর্বশেষ জয়ের ম্যাচেও দলে থাকা ম্যাথুস ৩২ রান করেছেন ৬১ বলে। ম্যাথুস ছাড়াও ১০ বছর আগের হেডিংলির সেই জয়ের ম্যাচ খেলা দিমুথ করুনারত্নে ও দিনেশ চান্ডিমালও ছিলেন ওভালে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের এই দলটার শুধু জো রুটেরই ছিল শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্ট হারার অভিজ্ঞতা।
ইংল্যান্ড: ৩২৫ ও ১৫৬।
শ্রীলঙ্কা: ২৬৩ ও ৪০.৩ ওভারে ২১৯/২ (নিশাঙ্কা ১২৭*, কুশল মেন্ডিস ৩৯, ম্যাথুস ৩২*; অ্যাটকিনসন ১/৪৪)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩–ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২–১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: পাতুম নিশাঙ্কা।