দলের সঙ্গে সিলেটে আসেননি। তাই গতকাল দলীয় অনুশীলনেও ছিলেন না। তবে আজ সকালে সিলেটে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। আজ রাতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে স্ট্রাইকার্সের ম্যাচ। রাতের ম্যাচে তাঁকে একাদশে দেখা যাবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
বিপিএলে সিলেটের হয়ে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্সের প্রথম ম্যাচে বল করেছেন ২.৩ ওভার। দু-তিন পা হেঁটে করা বলে মাশরাফি একটি উইকেটও পেয়েছেন। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে পরের ম্যাচে অবশ্য মাশরাফিকে বোলিং করতে দেখা যায়নি। ব্যাটিং করতে নেমেছেন ৩ নম্বরে। দৃষ্টিকটু রানআউটের আগে ৭ বলে করেছেন ৬ রান।
চোটের সঙ্গে লড়াই করে মাশরাফির এভাবে খেলে যাওয়াকে ভালোভাবে দেখেননি মাশরাফির একসময়ের সতীর্থ মোহাম্মদ আশরাফুল। তাঁর মতে, মাশরাফির এভাবে খেলে যাওয়া বিপিএলকে ছোট করছে। মাশরাফিকেও এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আশরাফুলের সঙ্গে দ্বিমত করেননি। যদিও সিলেটের মালিকপক্ষ মাশরাফিকে একাদশে দেখতে চায়।
আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান সিঙ্গাপুরে চোখের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে গত পরশু রাতে ঢাকায় ফিরেছেন। বিপিএলের দল রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে সিলেটে যোগ দিয়েছেন গতকাল রাতে। সাকিবের চোখের সমস্যা নিয়ে আপাতত বড় কোনো দুশ্চিন্তা নেই। মোটামুটি ভালো খবর নিয়েই তিনি ফিরেছেন সিঙ্গাপুর থেকে।
বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, সাকিব বাঁ চোখে এক্সট্রাফোভিয়্যাল সেন্ট্রাল সেরস কোরিওরেটিনোপ্যাথি সমস্যায় ভুগছেন। রেটিনার এ ধরনের সমস্যায় সাধারণত দেখতে অসুবিধা হয়। তবে সাকিবের চোখের চিকিৎসা করা মেডিকেল বিভাগ আশাবাদী, নমনীয় চিকিৎসাপদ্ধতিতেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপাতত সেভাবেই চলবে সাকিবের চোখের চিকিৎসা। খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন, সেটি তাঁর সিলেটে আসাতেই পরিষ্কার। তবে তাঁকে আজ রংপুর ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচের একাদশে দেখা যাবে কি না, সেটিই দেখার বিষয়।
সাকিবের চোখের সমস্যা প্রথমে ধরা পড়ে গত বিশ্বকাপের সময়। ভারতে দুজন চক্ষুবিশেষজ্ঞ দেখানোর পর তিনি দেশে এসেও শরণাপন্ন হয়েছিলেন চিকিৎসকদের। বিপিএলের ঠিক আগে ডাক্তার দেখাতে যান লন্ডনে, এরপর রংপুরের হয়ে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এক ম্যাচ খেলেই যান সিঙ্গাপুরে। সেখানে র্যাফলস আই সেন্টার ও ন্যাশনাল আই হসপিটালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছেন সাকিব। সব চিকিৎসকের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই ঠিক হয়েছে তাঁর চোখের চিকিৎসাপদ্ধতি।