চার দলের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সুপার ফোর ভাগ্য আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। বাকি ছিল আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্য থেকে একটি দলের পরের পর্বে যাওয়ার। গতকাল রাতে রুদ্ধশ্বাস এক ‘থ্রিলারে’ নিজেদের হিসাবের ভুলে সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছে আফগানরা। সুপার ফোরে বাংলাদেশের সঙ্গী হতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্য আফগানিস্তানকে ছুঁতে হতো ৩৭.১ ওভারের মধ্যে। তবে ৩৭.১ ওভারের মধ্যে জিততে না পারলেও সুযোগ ছিল তাদের।
সে ক্ষেত্রে ৩৭.৪ ওভারের মধ্যে করতে হতো ২৯৫ রান। এমনকি স্কোর টাই করার পর, মানে ২৯১ রান করার পরও ছক্কা মেরে জিতলেও আফগানিস্তানের সুযোগ ছিল ৩৮.১ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু প্রথম হিসাবটি ছাড়ার কিছুই জানা ছিল না আফগানিস্তানের। তাই সুযোগ থাকার পরও সেটি তারা কাজে লাগাতে পারেনি, যা আফগানদের জায়গায় শ্রীলঙ্কাকেই তুলে দিয়েছে সুপার ফোরে। এখন সুপার ফোরে জায়গা পাওয়া চার দল হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা; যেখানে গ্রুপ ‘এ’ থেকে পরের পর্বে গেছে ভারত-পাকিস্তান এবং গ্রুপ ‘বি’ থেকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।
সুপার ফোরের লাইন ও তারিখ আগে থেকে নির্ধারিত থাকলেও ভেন্যু নিয়ে গতকাল পর্যন্ত পরস্পরবিরোধী অবস্থানে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। টুর্নামেন্টের শেষ পাঁচটি ম্যাচ কলম্বো থেকে হাম্বানটোটায় সরিয়ে নেওয়া হবে, এসিসি এমন বলার পর আবার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছে। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এশিয়া কাপের শেষ পাঁচটি ম্যাচ কলম্বো থেকে হাম্বানটোটায় নিয়ে যাওয়ার দিকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল এসিসি। সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পিসিবিকে জানিয়েই।
মূলত বৈরী আবহাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। কিন্তু এরপরই এসিসি জানায়, আগের সূচি অনুযায়ী কলম্বোতেই হবে ম্যাচগুলো। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের আজকের সুপার ফোরের ম্যাচটি লাহোরে খেলা হলেও পরের সব কটি ম্যাচ হবে কলম্বোয়। ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পরের ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর বাংলাদেশ সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর। ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচটিও হবে এ মাঠে ১০ সেপ্টেম্বর।