ভারতের কাছে ২২৮ রানে হার। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের অসন্তুষ্ট হওয়ার কথা। তবে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান কামরান আকমল বোধ হয় একটু বেশিই খেপেছেন। কামরান বাবর আজমের দলকে স্রেফ ধুয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, এভাবে খেললে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে হারানোও কঠিন হবে পাকিস্তানের জন্য।
ভারতের বিপক্ষে পরশু সুপার ফোরের সে ম্যাচে শুরু থেকেই চাপে ছিল পাকিস্তান। নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহরা যেমন ব্যর্থ হয়েছেন তেমনি ব্যাট হাতে ফখর জামানরাও ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি।
সব মিলিয়ে প্রতিটা বিভাগেই সেদিন ভারতের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। তবে এক ম্যাচ দিয়েই বাবরের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দলকে বিচার করা একটু বাড়াবাড়িও হতে পারে। কারণ, এশিয়া কাপের আগে এই পাকিস্তানই ছিল দুর্দান্ত ছন্দে। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার মাটিতে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারানোর আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের শুরুটা হয় দারুণ।
নেপালকে ২৩৮ রানে হারানোর পরের ম্যাচে ভারতের মতো বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপকে বেশ ভুগিয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। যদিও বৃষ্টিতে সেই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এরপর সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ১৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে শুরু করে পাকিস্তান। তবে কামরান এত কিছু বিবেচনা করেননি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কামরান বলেছেন, ‘যদি (খেলার) এমন কৌশল থাকে তাহলে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো নেদারল্যান্ডসকে হারানোও কঠিন হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট কী করছে? কে আপনাকে আগে ব্যাটিং করতে বলেছে? অন্তত উইকেটে ক্রিকেটারদের থাকতে বলুন, রানরেট তো খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে।’
সুপার ফোরে এখন পর্যন্ত রান রেটে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। সে সুবাদে বৃষ্টির কারণে আজ পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কা ম্যাচ যদি খেলা পরিত্যক্ত হয় তাহলে ফাইনালে যাবে লঙ্কানরা। রান রেটে শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে থাকার বড় কারণ ভারতের বিপক্ষে বড় হার।
সে কারণেই কামরান বলছেন, ‘বার্তা পাঠান। শাদাব, ইফতিখার, সালমানরা খুব বাজেভাবে আউট হয়েছে। তাদের পুরো ওভারটা খেলে আসতে বলুন, অন্তত ২৬০-২৮০ পর্যন্ত স্কোরটা নিয়ে যাক। তারা জানত পিসিবি তাদের কঠিন প্রশ্ন করবে না। কোনো গেম প্ল্যান নেই, কৌশল নেই। সবাই ছুটি কাটাতে গেছে। বলার জন্য দুঃখিত, তবে শীর্ষ দলের বিপক্ষে আপনারা স্কুলবয়দের মতো খেলছেন।’