এবারের আইপিএলে গতকালই প্রথমবার দিল্লির একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ম্যাচেই তাঁর সুযোগ ছিল দিল্লির ‘নায়ক’ হওয়ার। কিন্তু মোস্তাফিজ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। কাল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে নিজের শেষ ওভার ও ইনিংসের ১৯তম ওভারে খেয়েছেন ২ ছক্কা। এ আসরে দিল্লির প্রথম জয় পাওয়ার সম্ভাবনা মূলত সেখানেই শেষ হয়ে যায়।
যদিও এই বাংলাদেশি পেসারই দিল্লিকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন। নিজের করা তৃতীয় ওভারে ওয়াইড ইয়র্কারে মোস্তাফিজ বিদায় করেছিলেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। ৬৫ রানে ব্যাট করা রোহিত টিকে গেলে ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত যেত কি না, সেটাই সন্দেহ। এর আগের ওভারেও দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন মোস্তাফিজ। দিয়েছিলেন মাত্র ২ রান। তবে নিজের করা প্রথম ওভারে ১৩ রান খরচা করেন মোস্তাফিজ।
১৯তম ওভারের শুরুটাও মোস্তাফিজ খারাপ করেননি। প্রথম ৩ বল দিয়েছিলেন মাত্র ২ রান। বাকি ৩ বলে মোস্তাফিজকে ২ ছক্কা মারেন ক্যামেরন গ্রিন ও টিম ডেভিড। ছক্কা খাওয়া দুটি বলই ছিল কাটার। চতুর্থ বলটি ছিল স্লোয়ার অফকাটার, তাতে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে প্রথম ছক্কাটি মারেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার গ্রিন।
ওভারের শেষ বলটাতেও কাটার দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ, এবার ওয়াইড লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে দেন আরেক অস্ট্রেলীয় টিম ডেভিড। কেন ভালো করতে থাকা মোস্তাফিজ স্পেলের শেষ তিন বলে দুটি ছক্কা খেলেন, তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা।
ক্রিকবাজের পোস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠানটিতে সাইমন ডুল বলেছেন, ‘১৯তম ওভারে ফিজকে দিয়ে বোলিং করানো সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। তবে অন সাইডে বাউন্ডারিটা ছোট ছিল। আর মোস্তাফিজ ব্যাটসম্যানের শরীরের কাছাকাছি বল করেছে। যে কারণে গ্রিন আর ডেভিড ছক্কা মেরেছে।’
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি বলছেন, মোস্তাফিজ কী বল করবেন, তা আগে থেকেই ব্যাটসম্যানরা বুঝে গিয়েছিলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলা এই সাবেক ক্রিকেটার বলছেন, ‘আপনার কাছে যখন কাটার থাকবে, তখন বলটাকে জায়গায়ও ফেলতে হবে। আগে থেকেই ব্যাটসম্যান প্রস্তুত ছিল। মোস্তাফিজ লেংথ পরিবর্তন করতে পারত। বল আরেকটু সামনে কিংবা ওয়াইড করতে পারত। একজন ব্যাটসম্যান যদি আগে থেকেই জানে বোলার কী বল করবে, তখন ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়।’