এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং কৌশল খুব সোজাসাপটা। ওপেনার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, কেউ–ই খুব বেশি ভাবেন না। বল দেখেন, ব্যাট চালান এবং এভাবেই তাঁরা সফল।
গতকাল লক্ষ্ণৌর তোলা ৪ উইকেটে ১৬৫ রান তো হায়দরাবাদ টপকে গেছে ১০ উইকেট আর ১০.২ ওভার হাতে রেখে দিয়ে। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০ ওভারের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড। কাল রান তাড়ার পথে আইপিএলে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও গড়েছে হায়দরাবাদ।
লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার মিলে ছক্কা মেরেছেন ১৪টি। ২৮ বলে ৭৫ রানের ইনিংসের পথে অভিষেক শর্মার ছক্কা ৬টি। ৩০ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকা ট্রাভিস হেডের ছক্কা ৮টি। দুই ওপেনারের ১৪ ছক্কায় এই মৌসুমে হায়দরাবাদের ছক্কার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬টিতে। যা আইপিএলে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। ২০১৮ সালে চেন্নাই ছক্কা মেরেছিল ১৪৫টি।
পরের মৌসুমেই এই রেকর্ড ভাঙার কাছে চলে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৯ সালে কলকাতার ছক্কা ছিল ১৪৩টি। তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা রয়্যাল বেঙ্গালুরু ২০১৬ সালে ১৪২টি ছক্কা মেরেছিল। ২০২৩ সালে ১৪০টি ছক্কা মেরে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
মজার ব্যাপার, হায়দরাবাদের এবারের মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। গ্রুপ পর্বেই হায়দরাবাদের ম্যাচ আছে দুটি। পরের পর্বে উঠতে পারলে ম্যাচ থাকবে সেখানেও। ১২ ম্যাচে ৭ জয়ে হায়দরাবাদ এখন টেবিলের তিন নম্বরে। তাই ছক্কার সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে, সেটা নিশ্চিত। এমনকি সেটা ২০০–এর কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। তবে সে জন্য জ্বলে উঠতে হবে হেড, অভিষেক কিংবা হাইনরিখ ক্লাসেনকে।
হায়দরাবাদের এবারের মৌসুমের ১৪৬ ছক্কার মধ্যে এই তিনজন মিলেই মেরেছেন ৯৭টি। এই তিনজনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫টি ছক্কা মেরেছেন অভিষেক শর্মা। যা এবারের আইপিএলেই সর্বোচ্চ। এবারের আইপিএলে ৪০১ রান করেছেন অভিষেক, যার মধ্যে ৩৩০ রানই করেছেন চার আর ছক্কাতে। হেড আর ক্লাসেন সমান ৩১টি ছক্কা মেরেছেন।