তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বেশ বড় ব্যবধানেই আফগানিস্তানকে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে বাবর আজমদের পুঁজি ছিল ২০১ রান। যা তাড়া করতে নেমে আফগানরা গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৯ রানে।
পাকিস্তানের ১৪২ রানের বড় এই জয়ের কারিগর বোলাররা। মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন হারিস রউফ। অন্য দুই পেসার শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ মিলে নেন ৩ উইকেট। পাকিস্তান দলের এমন বড় জয়ের পরও সামনের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য শঙ্কার দিক খুঁজে পেয়েছেন রমিজ রাজা।
সাবেক এই ক্রিকেটারের মতে, বাবর আজমদের ব্যাটিংয়ের একটি দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। আর সেটি হচ্ছে স্পিন বোলিংয়ে।
এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে। আর বিশ্বকাপ হবে ভারতের মাটিতে। সবই স্পিনবান্ধব উইকেটে। এমন সময়ে স্পিনে প্রস্তুতি থাকা দরকার ভালো মানের। কিন্তু হাম্বানতোতায় প্রথম ওয়ানডেতে আফগান স্পিনের কাছেই পাকিস্তান ব্যাটসম্যানরা পরাস্ত হয়েছেন। ১০ উইকেটের ৯টিই তুলে নিয়েছেন রশিদ খান, মুজিব উর রেহমান, মোহাম্মদ নবী ও রহমত শাহরা। তাঁদের মধ্যে খণ্ডকালীন স্পিনার রহমত ছাড়া অন্য তিনজনের বিপক্ষে ওভারপ্রতি সাড়ে চার রানও তুলতে পারেনি বাবরের দল।
আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ফুটে ওঠা এই স্পিন-দুর্বলতা দ্রুত কাটিয়ে ওঠা দরকার বলে মনে করেন রমিজ। সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘পাকিস্তান স্পিন বোলিংয়ের সামনে সমস্যায় পড়ছে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে এটা সমাধা করা দরকার। কারণ, একই কন্ডিশনেই কিন্তু খেলতে হবে। আমরা যদি স্পিন বোলিংয়ের সমাধান না করতে পারি, টুর্নামেন্টে সামনের দিকে এগোনো যাবে না।’
স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানের দুর্বলতার উদাহরণ দিতে গিয়ে রমিজ বলেন, ‘গাড়ির হেডলাইটের সামনে পড়লে খরগোশ যেমন জায়গায় আটকে যায়, পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের দেখলেও তেমনই মনে হয়।’
আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন ইমাম উল হক। অন্য কোনো ব্যাটসম্যান ৪০-এর ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। অধিনায়ক বাবর আজম ৩ বল খেলে মুজিবের বলে শূন্য রানে এলবিডব্লু হন। রমিজের মতে, পাকিস্তানের ব্যাটিং বাবরনির্ভর হয়ে গেছে, ‘পাকিস্তান বাবর আজমের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সেটা টেস্ট হোক, ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি। এমনকি শূন্য রানে আউট হলেও ওকে নিয়ে আলোচনা হয়।’