সুনীল নারাইনের কথায় নির্মম এক বাস্তবতাই ফুটে উঠল! নারাইন এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট খেলছেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিই খেলেছেন ৫০১টি, উইকেট নিয়েছেন ৫৩৮টি। অর্থাৎ ক্রিকেটার কিংবা একজন বোলার হিসেবে নারাইনের অভিজ্ঞতা পাহাড়সমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার দেখেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কীভাবে বোলারদের ওপর ব্যাটসম্যানের ব্যাট তলোয়ার হয়ে নেমে আসে। মাঝেমধ্যে নারাইন তো নিজেই সেই কাজটা করেন। এসব অভিজ্ঞতা থেকেই সম্ভবত নারাইন গতকাল ৮৫ রানের ইনিংস খেলে বলেছেন—‘ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং’।
গতকাল ওপেনিংয়ে নেমে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন নারাইন। তিনি একা যে এমন খেলেছেন তা নয়, ঝড় তুলেছেন আন্দ্রে রাসেল, রিংকু সিং ও অংক্রিশ রঘুবংশীও। তাতে কলকাতা তুলেছে আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় ও টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম সর্বোচ্চ ২৭২ রান। বিশাখাপট্টনমে পরে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ভাবা যায়, ওভারপ্রতি ৮ রানের বেশি তুলেও ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হার—বোলারদের কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে।
ম্যাচসেরা পুরস্কার নিতে এসে নারাইন যা বলেছেন, তাতে যেন ক্রিকেটারদের ভাবনাটা স্পষ্ট, ‘ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং, তাই ব্যাটার হিসেবে আরও অবদান রাখার অপেক্ষায় আছি। এরপরও বোলিংটাও উপভোগ করি।’
ম্যাচের আগে ব্যাটিং নিয়ে কলকাতার টিম মিটিংয়ে থাকতে পারেননি নারাইন। এ প্রসঙ্গে মজা করে বলেছেন, ‘ব্যাট হাতে আমার ভূমিকা একটাই, যত কম জানব, ততই আমার জন্য ভালো।’ গতকাল ৮৫ রানের ইনিংস খেলার আগের ম্যাচেও ফিফটি করেন নারাইন। অথচ এই নারাইনই একসময় ব্যাট করতেন লোয়ার অর্ডারে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তো নিজে অধিনায়ক ছিলেন, তখনো ব্যাট করেছেন লোয়ার অর্ডারে। গতকাল সে প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমাদের অনেক ব্যাটসম্যান ছিল, তাই আমার প্রয়োজন হয়নি। দিন শেষে দলের চাওয়াটাই বড়।’