নিউইয়র্কে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি বাংলাদেশ। কোচ হাথুরুসিংহের আশা, এই ম্যাচে ভালো করে সুপার এইটের পথে এগিয়ে যাবে দল।
টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ সেই প্রোটিয়ারাই প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ প্রথম জয়ের দেখা পেয়ে গেলে দারুণ ব্যাপারই হবে। সুপার এইটে ওঠার পথ তাতে অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বাংলাদেশের। সেই ম্যাচের আগে কাল নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে আশাবাদীই ছিলেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
হাথুরুকে আশা জুগিয়েছে নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের উইকেট। উইকেটের অসম বাউন্সের কারণে সেখানে রান করাই কঠিন হয়ে গেছে। সমালোচনাও কম হচ্ছে না ড্রপ-ইন উইকেটের। তবে সেই উইকেটকেই বাংলাদেশের সুযোগ হিসেবে দেখছেন হাথুরু, ‘উইকেটটা ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ নয়। আর এ কারণে দুই দলই সমতায় থেকে ম্যাচটি শুরু করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং খুবই ভালো। (তবে) আমরা এই উইকেটে দারুণ লড়াই উপহার দিতে আত্মবিশ্বাসী।’
ফর্মে না থাকলেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করলেন শ্রীলঙ্কান কোচ। নিউইয়র্কের কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানদের মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শই দিলেন হাথুরু, ‘আমরা নিজেদের খেলা, শক্তির জায়গা ও প্রতিপক্ষ নিয়ে কথা বলেছি। উইকেটে গেলে কিন্তু সিদ্ধান্তটা ওদেরই নিতে হয়। ওদের খেলাটি বুঝতে হবে ও ম্যাচের অবস্থা কেমন, সেটিও বুঝতে হবে। এটা টেকনিক্যাল কোনো ব্যাপার নয়। আমার মনে হয় ওদের ঠান্ডা মাথায় নিজেদের শক্তির জায়গা বুঝে খেলা উচিত। আর আত্মবিশ্বাস থাকলেই নিজের শক্তি অনুযায়ী খেলা যায়। যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য এটাই বার্তা—ভালো খেলার সময় কী করেছ মনে করো।’
কোচের কথায় এই আত্মবিশ্বাসের সুর গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারানোর ফসল, ‘ওই জয়টা খেলোয়াড়দের স্বস্তি দিয়েছে। ২ পয়েন্ট পাওয়া গেছে। ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক বড় ছিল। চাপও কম ছিল না। আমরা কিছুটা অধারাবাহিক হয়ে পড়েছিলাম। অনুশীলনে ভালো করলেও ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছিলেন না। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো লিটন উইকেট থেকে রান পেয়েছে। সে কন্ডিশন বুঝেই রান করেছে। ওর কাছ থেকে আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা আমাদের।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন রিশাদ হোসেন। তরুণ এই লেগ স্পিনারের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সকেই কাছেপিঠের সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া বললেন হাথুরু। সংবাদ সম্মেলনে শুধু নেতিবাচক বিষয় নিয়েই আলোচনা বেশি হওয়ায় একটু বোলারদের প্রসঙ্গও টানতে বললেন হাথুরু, ‘আমরা যেসব বিষয়ে ভালো করিনি, সেগুলো নিয়েই বেশি কথা বলছি। বোলিংয়ে তো আমরা খুবই ভালো করেছি। আমরা যা করেছি, তা নিয়ে কি কোনো প্রশ্ন হবে না?’
এরপর বোলারদের প্রসঙ্গে হাথুরু তাসকিনদের প্রশংসায় ভাসালেন, ‘বোলিং ইউনিট পরিস্থিতি বুঝে পরিকল্পনা করে বল করেছে, খুবই ইমপ্রেসিভ ছিল না। আমার কোচিং স্টাফরা বোলারদের নিয়ে অনেক কাজ করেছে, তবে মাঠে তো সিদ্ধান্ত তারাই নিয়েছে।’ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সুপার এইটে ওঠার পথে আরেকটু এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের কথা বললেন হাথুরু, ‘প্রতিটি ম্যাচেই চাপ থাকে। এটা আমাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে চাই। সেই লক্ষ্যপূরণের বড় সুযোগ আমাদের জন্য।’