লাবুশেনকে আউট করেছেন রুট
লাবুশেনকে আউট করেছেন রুট

‘বোনাস’ পেয়ে খুশি ইংলিশরা

শেষ পর্যন্ত কি বৃষ্টির কাছেই শেষ হবে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন? এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা না গেলেও এই আশঙ্কাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, ম্যানচেস্টার টেস্টের পঞ্চম দিনেও আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।

যে কারণে এগিয়ে থাকার পরও ম্যানচেস্টার টেস্ট জয় থেকে বেশ খানিকটা দূরেই আছে ইংল্যান্ড। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্বল্প সুযোগের সদ্ব্যবহারের কথা ভাবছে বেন স্টোকসদের দল। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ম্যানচেস্টার টেস্ট নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরেছেন ইংল্যান্ড দলের ব্যাটিং কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিক।

গতকাল ম্যানচেস্টার টেস্টে খেলা হয়েছে মাত্র এক সেশন। প্রথম সেশনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় প্রথম বলটি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রথম বল মাঠে গড়ায় বেলা পৌনে তিনটায়। দ্বিতীয় সেশনে বৃষ্টি বাগড়া না দিলেও চা-বিরতির পর হয় আবার বৃষ্টি। এরপর আর খেলা শুরু করা করা যায়নি। এর মধ্যে ৩০ ওভারে ১০১ রান তোলার মাঝে লাবুশেনের উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১৪। ইংল্যান্ড এখনো এগিয়ে আছে ৬১ রানে।

দেশের বাইরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন লাবুশেন

এই টেস্টে জিততে ও অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে দ্রুতই অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট তুলে নিতে হবে ইংল্যান্ডের। বৃষ্টি যদি হয়, তাহলে পঞ্চম দিনে কত ওভার খেলা হবে, সেটাও নিশ্চিত নয়। তবে ইংল্যান্ডের সামনে যদি ছোট কোনো সুযোগও আসে, সেটাও কাজে লাগাতে মরিয়া তারা। ম্যাচ শেষে ব্যাটিং কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিক বলেছেন, ‘আগামীকাল (আজ) যে সুযোগটাই আসে না কেন, আমরা দুই হাতে লুফে নেব।’

চতুর্থ দিনে বৃষ্টির চোখরাঙানিতে এক বলও মাঠে না গড়ানোর আশঙ্কা ছিল। এমন এক দিনে লাবুশেনের উইকেটটা নিতে পেরেও কিছুটা খুশি ব্যাটিং কোচ। তবে ৩০ ওভার বোলিং করে আরও উইকেট না নিতে পারার আক্ষেপও আছে তাঁর কণ্ঠে। বিবিসিতে তিনি বলেছেন, ‘যা ভেবেছি তার চেয়ে বেশি খেলা হয়েছে। মনে হয়েছিল বলই মাঠে গড়াবে না, তাই যা হয়েছে, তা বোনাস। আমরা এক উইকেট কাছে গিয়েছি, তবে এখনো দিনটা হতাশাজনকই। পুরোটাই আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করেছে। আমরা এই দিনে দু–তিনটা উইকেট নিতে চেয়েছিলাম।’

শেষ পর্যন্ত কি বৃষ্টির কাছেই শেষ হবে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন?

গতকাল ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লাবুশেন, যা সবশেষ ২৩ ইনিংসে প্রথম আর দেশের বাইরে দ্বিতীয়। সবচেয়ে বড় কথা, লাবুশেন এমন একসময় সেঞ্চুরি পেয়েছেন, যখন অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় একটা ইনিংস খুব প্রয়োজন ছিল। সে কারণেই হয়তো ইনিংসটাকে আরও বড় করতে না পেরে হতাশ লাবুশেন, ‘টেস্ট সেঞ্চুরি সব সময়ই বিশেষ কিছু। এটা সব সময় হয় না, কিন্তু এরপরও কিছুটা হতাশ আমি, আমি চা–বিরতি পর্যন্ত দলকে নিয়ে যেতে পারিনি। দারুণ একটা দিন কাটানোর খুব কাছাকাছি ছিলাম। ম্যাচটা এখন বাঁচানো ও অ্যাশেজ ট্রফি ধরে রাখার দিকেই আমরা মনোযোগী।’