এবারের আইপিএলে রীতিমতো রানবন্যা চলছে। শনিবার পর্যন্ত হওয়া ৩৫ ম্যাচে ২০০-পেরোন স্কোর দেখা গেছে ১৫ বার। এর মধ্যে ২৫০ রানের বেশি হয়েছে পাঁচবার। আইপিএলে ব্যাটসম্যানদের এই তাণ্ডব দর্শকদের জন্য আনন্দের হলেও ব্যাটিং ও বোলিংয়ের মধ্যের লড়াইয়ের সমতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।
আইপিএল যাতে শুধুই ব্যাটসম্যানদের খেলায় পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিসিসিআইকে পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাভাস্কার। ভারতের কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান বলেছেন, ব্যাটসম্যান ও বোলারদের মধ্যে যতটা সম্ভব প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা রাখতে হবে।
এবারের আইপিএলে যে পাঁচবার দলীয় রান ২৫০ ছাড়িয়েছে, এর তিনটি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। সর্বশেষটি শনিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৬ রান তোলার পথে প্রথম ৬ ওভারেই রেকর্ড ১২৫ রান তুলে ফেলেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা।
ব্যাটসম্যানদের রান–উৎসবে লাগাম টানতে অনেকে ব্যাটের আকারে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে গাভাস্কার মনে করছেন, বোলারদের দিকটিই বেশি ভাবা দরকার। আনজুম চোপড়ার সঙ্গে আলোচনায় ভারতীয় কিংবদন্তি বলেন, ‘আমি ব্যাটের আকার বদলাতে বলব না। ওটা নিয়মের মধ্যেই আছে। আমি যেটা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, প্রতিটি মাঠে বাউন্ডারির সীমানা বাড়ান। আজকের এই মাঠেই তাকান। এখানে বাউন্ডারি দড়ি আরও কয়েক মিটার পেছানো যায়। বাউন্ডারি একটু বাড়ালে ক্যাচ এবং ছক্কার পার্থক্য বোঝা যায়। এলইডি কিংবা বিজ্ঞাপন বোর্ড পিছিয়ে ২–৩ মিটার বাউন্ডারি বাড়ানো যেতেই পারে। যেটা পার্থক্য গড়ে দেবে। নয়তো বোলাররা ভোগান্তির মধ্যেই থাকবে।’
গাভাস্কার মনে করেন, টি–টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা এখন অনুশীলনের মতো করে ব্যাট করেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দেখছি, টি–টোয়েন্টি ব্যাটিংটা হয়ে নেট অনুশীলনে কোচের কথার মতো, ‘‘যাও শেষ রাউন্ড খেলে আসো’’। এরপর সবাই সমানে ব্যাট ঘোরাতে শুরু করে। আউট হলো কি হলো না সেটা ব্যপার নয়। একটা পর্যায় পর্যন্ত এটা ভালোই লাগে। কিন্তু বেশি হয়ে গেলে তখন আর উত্তেজনা কাজ করে না।’