একাডেমি মাঠে অনুশীলন চলছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশালের
একাডেমি মাঠে অনুশীলন চলছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশালের

কুমিল্লা–বরিশালের ‘যৌথ অনুশীলন’

নেটে বোলার সাকিব আল হাসান, ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন দাসের পর এলেন মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর সাকিবই গেলেন ব্যাটিংয়ে, বোলার নাঈম হাসান। দেখে মনে হতে পারে একাডেমি মাঠের মাঝ উইকেটে বুঝি জাতীয় দলের অনুশীলনই হচ্ছে। আসলে অনুশীলনটা বিপিএলের এবং সেই অনুশীলনকে শুধু ‘অনুশীলন’ না বলে ‘যৌথ অনুশীলন’ বলাই ভালো।

কারণ, নেট অনুশীলনের যে ব্যাটসম্যান–বোলারদের কথা বলা হলো, তাঁরা সবাই একই দলের নন। সাকিব সেখানে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক; লিটন, মোসাদ্দেক ও নাঈম কুমিল্লার। বিপিএলের দলগুলো ভাগ ভাগ হয়ে অনুশীলন করে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে। তবে আজ একই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা।

একাডেমি মাঠে অনুশীলন চলছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশালের। একদিকের নেটে ব্যাট করছিলেন কুমিল্লার লিটন, আরেক দিকে বরিশালের মেহেদী হাসান মিরাজ। ওপাশের নেট থেকে লিটন এরপর এলেন সাকিব-মিরাজদের নেটে। সাকিবকে কিছু একটা বললেনও লিটন। কিছুক্ষণ পর মিরাজ জায়গা করে দিলেন লিটনকে। কুমিল্লার থ্রোয়ার যেমন সে নেটে এলেন, ছিলেন বরিশালের থ্রোয়ারও। দল-পরিচয় ভুলে কয়েক দফা পালা করে ব্যাট করলেন লিটন ও মিরাজ।

কুমিল্লার হয়ে অনুশীলন করেছেন নাসিম শাহ

এরপর সেখানে এলেন কুমিল্লারই আরেক ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক। লিটনকে বোলিং না করলেও সাকিব মোসাদ্দেককে বোলিং করলেন। প্রথম দু-একটি বল একটু দেখেশুনে খেললেও সাকিবের বলে এরপর শট খেলা শুরু করলেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যান। কয়েকবারই বল চলে গেল একাডেমি মাঠের সীমানা পেরিয়ে।

১৯ বলে ২৭ রানের একটি ইনিংস বাদ দিলে এবারের বিপিএলে মোসাদ্দেক ব্যাটিংয়ে এখনো তেমন কিছু করতে পারেননি। অবশ্য দুই ম্যাচে তো ব্যাটিংই করতে হয়নি তাঁকে। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে আছেন দুর্দান্ত ফর্মে, বোলিংয়েও ধরে রেখেছেন ছন্দ। ‘যৌথ অনুশীলনে’ কুমিল্লার অফ স্পিনার নাঈম হাসানের বলে বড় শট খেলেছেন সাকিবও। প্রায়ই বল আছড়ে পড়ল একাডেমি চত্বরের বাইরে। ফর্মে যে আছেন, সেটি যেন নেটেও পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন বরিশাল অধিনায়ক!

সাকিবের এই ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন বরিশালের সহকারী কোচ মিজানুর রহমানের কথাটা, ‘শেষ ম্যাচের আগের ম্যাচে (রংপুরের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৯ রান) সাকিবকে বলেছিলাম, ‘তুমি যে রকম ব্যাট করেছ, আমার দেখা তোমার জীবনের সেরা ইনিংস। যেমন পরিস্থিতিতে সাকিব প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলেছে, এ রকম ব্যাটিং আমি তাকে করতে দেখিনি। পরের ম্যাচেও ওরকমই ব্যাটিং করেছে। সবার দৃষ্টিতেই সাকিব এখন সেরা ফর্মে আছে।’

দল হিসেবেও দুর্দান্ত সময় যাচ্ছে বরিশালের। প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করলেও এরপর তারা জিতেছে টানা পাঁচ ম্যাচ। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে সমান ১০ পয়েন্ট এখন তাদের, যদিও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকার কারণে পয়েন্ট তালিকায় তারা আছে দুইয়ে। আগামীকাল শুরু ঢাকার দ্বিতীয় পর্বে দুই দল মুখোমুখি হবে ২৪ জানুয়ারি।

৬ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট ও বরিশালের পরই আছে কুমিল্লা। আগামীকাল টেবিলের তলানিতে থাকা ঢাকা ডমিনেটরসের মুখোমুখি হবে তারা।