পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার
পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার

বাবর-শাহিনের সমালোচনা করে তোপের মুখে শোয়েব

বাবর আজম আর শাহিন আফ্রিদিপাকিস্তান ক্রিকেটের সময়ের অন্যতম সেরা দুই মুখ। পাকিস্তান সমর্থকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটারও তাঁরা। এ দুজনের সমালোচনা করে তোপের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। এক বিতর্ক থামাতে গিয়ে উসকে দিয়েছেন নতুন বিতর্কও! ৪৭ বছর বয়সী এই পেসারকে এখন তুলাধোনা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকে।

গত সপ্তাহে সুনো টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের যোগাযোগ দক্ষতার সমালোচনা করেন। অধিনায়ক বাবরের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খোলাখুলিভাবে বাবরের কথা বলব আমি, পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হওয়া উচিত ওর। কিন্তু সেটা হতে পারছে না? কারণ, সে কথা বলতে পারে না।’
কথা বলতে জানা মানে গণমাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় সাবলীলতা বুঝিয়েছেন শোয়েব। তবে শোয়েবের মন্তব্যটি বাবরের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করেছেন অনেকে।

শোয়েবের সাবেক সতীর্থ কামরান আকমল বাবরের পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘শোয়েব আখতার ইদানীং স্ক্রিনের (পর্দা) সামনে আসেন না। এ কারণে বাবরকে নিয়ে মন্তব্য করে শিরোনামে আসতে চেয়েছেন। বাবর আজম আমাদের সুপারস্টার, বিশ্বের নাম্বার ওয়ান। মিডিয়া সামাল দেওয়ার বিষয়টিতে সে দিন দিন উন্নতি করছে।’

বাবরের কথা বলতে পারা নিয়ে পক্ষে–বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া দুই ক্রিকেটারকে হাজির করা হয় এআরওয়াই নিউজের টক শোতে। সেখানে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একপর্যায়ে কামরানেরই ভুল ধরেন শোয়েব, ‘গতকাল আমি কামরান আকমলের কথা শুনছিলাম। সে “স্ক্রিন” শব্দটিকে “এসক্রিন” বলে উচ্চারণ করছিল। তুমি একটি মিডিয়ায় কথা বলছ, কী উচ্চারণ করছে খেয়াল করা দরকার।’

বাবর আজম

শোয়েবের এই মন্তব্যের পর কামরান আকমলকে চুপ করে থাকতে দেখা যায়। তবে এভাবে একজন সাবেক ক্রিকেটারের উচ্চারণ নিয়ে বিদ্রূপ করায় টুইটারে পাল্টা সমালোচনার শিকার হচ্ছেন শোয়েব।

২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো শোয়েব শহীদ আফ্রিদি কর্তৃকও সমালোচিত হয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ দিকে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে যান শাহিন আফ্রিদি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তের ওই চোটের কারণে বোলিং শেষ করতে পারেননি শাহিন, পাকিস্তানও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায়।

গত সপ্তাহে বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে শাহিনের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সমালোচনা করে শোয়েব বলেন, ‘আমি শাহিনের জায়গায় থাকলে ওই ১২টি বল করে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় তারকা হয়ে যেতাম। আমি বোলিং করতাম। হাঁটু ভেঙে পড়ে গেলেও উঠে দাঁড়াতাম। বারবার ইনজেকশন নিয়ে হলেও খেলা চালিয়ে যেতাম।’

শাহিন শাহ আফ্রিদি

শাহিনকে উদ্দেশ করে বলা এই সব মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন তাঁর শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি। খোঁচার সুরে তিনি বলেন, ‘শোয়েব আখতার এত বেশি ইনজেকশন নিয়েছে যে এখন হাঁটতেই পারে না। দেখুন, এটাই শোয়েব আখতারের মান। সে এটা করতেই পারে। কঠিন, তবু পারে। কিন্তু সবাই তো শোয়েব আখতার না। চোটের কারণে ইনজেকশন আর ব্যথানাশক নিয়ে খেলাটা কঠিন। কারণ, এর মাধ্যমে চোট আরও গুরুতর হয়ে ওঠার ঝুঁকি থাকে।’