মুশফিক নিজের ইনিংসটাকে বেশিদূর টানতে পারেননি।
মুশফিক নিজের ইনিংসটাকে বেশিদূর টানতে পারেননি।

আজ ৩০০–ই হলো না

প্রথম ওয়ানডেতে ৩০০ পেরোনো স্কোর করেও হেরেছে বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে উঠল ৯ উইকেটে ২৯০। এই সংগ্রহ নিয়ে আজ সিরিজে সমতা ফেরানো সম্ভব কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে। আপাতত বলা যায়, দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও সংগ্রহ নিয়ে একটু অতৃপ্তি থাকলই বাংলাদেশের।

রান পেয়েছেন প্রায় সব ব্যাটসম্যানই। কিন্তু তামিম ইকবাল আর আফিফ হোসেন ছাড়া কারও ব্যাটেই রানের গতিপ্রবাহ ঠিক সেভাবে দেখা গেল না। লিটন দাস আজ ছিলেন না, এনামুল নেমেছিলেন তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে, কিন্তু রান–বলের অঙ্ক ঠিক মেটাতে পারেননি। শুধু এনামুল–ই নন, নাজমুল হোসেন,মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ—ব্যাটে রানের ঝড় তুলতে পেরেছেন–ই বা কে! মুশফিকুর রহিম স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ফিরেছেন, মাহমুদউল্লাহ অবশ্য শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের রানকে একটা পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন। শুরুতে ধীরলয়ের ইনিংস খেললেও মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিয়েছেন বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে।

নাজমুল হোসেন ফিরেছেন ৩৮ রানে

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের। তামিম স্ট্রেট ড্রাইভে চার মেরে শুরুটা করেছিলেন। ব্র্যাডলি এভান্সের ওভারে পরের চারটি মেরেছেন কাট করে। ওই ওভারের শেষ বলে ওয়ানডে অধিনায়ক অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটিও মেরেছেন। পঞ্চম ওভারে ১৪ রান নিয়ে একটা ভালো দিনের পূর্বাভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। তামিম–এনামুলের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭১ রান। যা ভেঙেছে তামিমের বিদায়ে। ৪৫ বলে ৫০ রান করে তামিম যখন আউট হলেন, দলের রান ৭১। তামিমের ৫০ রানের ৪৬–ই এসেছে সীমানা পেরোনো শট থেকে। ৬ রান পরই ফিরে গেছেন এনামুলও। ২৫ বলে ২০ রান করার পর তাঁর বিদায়ে অবশ্য দুর্ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল। নাজমুলের স্ট্রেট ড্রাইভ বোলারের হাত ছুঁয়ে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেট ভেঙে দেওয়ায় আউট হয় যান ক্রিজের বাইরে থাকা এনামুল।

এরপর নাজমুল হোসেন আর মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৪ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। দলীয় ১২৭ রানের মাথায় ৩১ বলে ২৫ রান করে মুশফিকুর রহিম ফেরেন মাধেভেরের বলে মুনিওঙ্গার বলে আউট হয়ে। নাজমুল ৩৮ করেন ৫৫ বলে। মাধেভেরের বলে উইকেটের পেছনে চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে।

৮৪ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকলেন মাহমুদউল্লাহ

এরপর আফিফ আর মাহমুদউল্লাহর আরেকটা জুটি। ৮২ বলে ৮১ রানের। সেই জুটিতে অবশ্য রানের গতি বেড়েছে আফিফের ব্যাটেই। মাহমুদউল্লাহ একপ্রান্ত ধরে রেখে খেলেছেন। আফিফ সেট হয়ে হাত খুলেছেন। কিন্তু সেই ইনিংসটি ৪১ বলে ৪১ রানের বেশি হতে পারেননি। আফিফ মেরেছেন ৪টি বাউন্ডারি। মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮৪ বলে ৮০ রান করে (৩ বাউন্ডারি, ৩ ছক্কা)। কিন্তু তাঁর ইনিংস নিয়েও অতৃপ্তি থাকতে পারে, আরও আগে থেকে তিনি একটু আক্রমণাত্মক হতে পারেননি বলে! ফিফটি করতেই ৬৮ বল লাগিয়ে ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর অবশ্য ১৬ বলে করেছেন ৩০ রান। ইনিংসের ৩টি ছক্কাও এই সময়েই।

শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৮৪ রান। প্রথম ম্যাচে এর চেয়ে বেশি রান করেও হারতে হয়েছিল। আজ কী হয়, দেখা যাক!