টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস ১৪৬ বছরের। প্রায় দেড় শ বছরের ইতিহাসে সর্বশেষ টেস্ট নিউল্যান্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের ম্যাচটি। যেটা শেষ হয়েছে মাত্র ২ দিনে। ১৪৬ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে ২৫টি টেস্ট ২ দিনের মধ্যে শেষ হলো। যেখানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাই নয়, ২ দিনে টেস্ট হারার স্বাদ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলও। জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তানের মতো দলগুলোও ২ দিনে টেস্ট হেরেছে। তবে এদিক থেকে বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো। ২০০০ সালে ক্রিকেট অভিজাত অঙ্গনের মর্যাদা পাওয়া বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত ২ দিনে কোনো টেস্ট ম্যাচ হারেনি।
টেস্ট ক্রিকেট ৫ দিনের ম্যাচে কোনো দলের ২ দিনেই হেরে যাওয়ার প্রথম ঘটনা দেখে ১৮৮২ সালে। ১৮৭৭ সালে শুরু হওয়া টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সেই ম্যাচটি ছিল এই সংস্করণের ইতিহাসে নবম। প্রথম ইনিংসে ৬৩ রানে অলআউট হওয়া অস্ট্রেলিয়া সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ৭ রানে। অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিল ১২২ রান। ইংল্যান্ডের রান দুই ইনিংসে ছিল যথাক্রমে ১০১ ও ৭৭।
২ দিনে ফল হওয়া দ্বিতীয় টেস্টটি দেখতে অবশ্য এরপর ৬ বছর কেটে যায় ক্রিকেট–বিশ্বের। শুধু একটি-দুটি নয়, ১৮৮৮ সালে ৩টি টেস্ট ২ দিনের মধ্যে শেষ হয়। পরের বছর ২ দিনে শেষ হয় ২টি টেস্ট। ১৮৭৮ থেকে ১৯৪৬—এই পর্যন্ত ক্রিকেট–বিশ্ব ২ দিনে শেষ হওয়া টেস্ট দেখেছে ১৫টি।
এরপর লম্বা সময় ২ দিনে শেষ হওয়া টেস্ট দেখা যায়নি। সে সময় বলাবলি হচ্ছিল, এমন ঘটনা আর দেখা না যাওয়ারই কথা। কারণ, শুরুর দিকে খেলা যে পিচে হতো, সেই পিচগুলো খেলার সময়ের বাইরে ঢেকে রাখা হতো না। ক্রিকেটের আধুনিক যুগে খেলার সময়টুকু ছাড়া পিচ ঢেকে রাখা হয়। বোলারদের ক্ষেত্রে অনেক বাধ্যবাধকতা এসেছে। এই যেমন এখন আর বোলাররা ওভারে দুটির বেশি বাউন্স দিতে পারেন না। এসব মিলিয়েই বলাবলি হচ্ছিল অমন কথা।
কিন্তু ২০০০ থেকে আজ পর্যন্ত ক্রিকেট–বিশ্ব ২ দিনের ম্যাচ দেখে ফেলেছে ১০টি। একুশ শতকে ২ দিনে শেষ হওয়া প্রথম টেস্টটি ছিল ২০০০ সালে, লিডসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ৩৯ রানে হারায় ইংল্যান্ড। এরপর ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা ২ দিনের মধ্যে টেস্ট হারলেও এই লজ্জা সঙ্গী হয়নি বাংলাদেশের।