আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজে ইংল্যান্ড দলে সুযোগ না পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঈন, জানিয়েছে ডেইলি মেইল। সাক্ষাৎকারে এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার বলেছেন, ইংলিশ ক্রিকেটে তাঁর অধ্যায় শেষ, এখন পরবর্তী প্রজন্মের সময়।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে আগেই অবসর নেওয়া মঈন ইংল্যান্ডের হয়ে ২৯৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। সর্বশেষ তিনটি বিশ্বকাপে ছিলেন দলের সহ-অধিনায়ক। তবে সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তাঁর। বিশেষ করে ব্যাট হাতে। মঈনের ব্যাট থেকে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বশেষ ফিফটি এসেছে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এরপর ১৩ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ৪২।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বশেষ ৫ ম্যাচে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৫। তাই বয়স আর ফর্ম বিবেচনায় অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মঈনকে নেওয়া হয়নি। দলে সুযোগ পেয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পাঁচ ক্রিকেটার জর্ডান কক্স, ড্যান মৌসলি, জশ হাল, জন টার্নার ও জ্যাকব বেথেল।
নিজের অবসর নিয়ে মঈন বলেছেন, ‘আমার বয়স ৩৭ বছর। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সুযোগ পাইনি। ইংল্যান্ডের হয়ে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখন পরের প্রজন্মের সময়, এটা আমাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমার অধ্যায় শেষ।’
বাস্তবতা বুঝে বাদ পড়ার পর আবার দলে ফেরার চেষ্টা করবেন না মঈন। সাক্ষাৎকারে এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আঁকড়ে ধরে থাকতে পারতাম, আবার ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার চেষ্টা করতে পারতাম, কিন্তু আমি বাস্তবতা জানি, তাই চেষ্টা করব না। (ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য) আমি যথেষ্ট ভালো নই, অবসর নেওয়ার পরও এটা মনে হচ্ছে না। আমার এখনো মনে হয়, আমি খেলতে পারব। কিন্তু আমি আসল পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছি, দলের এখন নতুন চক্রে প্রবেশ করা প্রয়োজন। এটা নিজের কাছেও সৎ থাকার বিষয়।’
ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৮ টেস্টে মঈন উইকেট নিয়েছেন ২০৪টি, সেঞ্চুরি আছে ৫টি। টেস্টের এই অর্জনে বিশেষভাবে গর্বিত তিনি, ‘৫টি টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য আমি গর্বিত। যদিও সংখ্যাটা মাত্র ৫, কিন্তু এটার মানে অনেক। যেহেতু বেশির ভাগ সময়েই আমি নিচের দিকে খেলেছি।’
অবসর নিলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এরপর কী? আপাতত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে গেলেও সামনে কোচিংয়ে আসার ইচ্ছা আছে মঈনের। তিনি বলেছেন, ‘কোচিংয়ে আসতে চাই। এখানে অন্যতম সেরা হতে চাই। ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালেমর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব। আশা করছি সবাই আমাকে মুক্ত চেতনার মানুষ হিসেবে চিনবে। ক্যারিয়ারে কিছু ভালো শট খেলেছি, কিছু খারাপ, আশা করছি মানুষ আমার খেলা উপভোগ করেছে।’