আইপিএলের জন্মলগ্ন থেকেই খেলছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। গুঞ্জন আছে, অধরা শিরোপা জিততে ২০২৫ আসরে বেঙ্গালুরু নাকি এমন একজনকে খুঁজছে, যাঁর নেতৃত্বে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
তেমনই এক অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এ বছর রোহিতের নেতৃত্বেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। আইপিএলে ইতিহাসে তো তিনিই সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে ১১ মৌসুম নেতৃত্ব দিয়ে ৫ বার বানিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু সর্বশেষ মৌসুমে তাঁকে সরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়কত্ব দেয় মুম্বাই। শোনা যাচ্ছে, রোহিতকে এবার ছেড়ে দিতে পারে মুম্বাই। তা সত্যি হলে নভেম্বরে মেগা নিলামে তোলা হবে রোহিতকে। বেঙ্গালুরু সেই সুযোগটাই লুফে নিয়ে তাঁকে দলে ভেড়াতে পারে।
কিন্তু রোহিতের মতো তারকা খেলোয়াড়কে কিনতে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে। অঙ্কটা কত হতে পারে, তা অনুমান করে ফেলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতীয় দলে রোহিতের সতীর্থ ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালসের এই স্পিনারের ধারণা, ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে দলে নিতে কমপক্ষে ২০ কোটি রুপি ঢালতে হবে।
বেঙ্গালুরুর সমার্থক হয়ে ওঠা বিরাট কোহলির সঙ্গে রোহিতকে আইপিএলে খেলতে দেখার সম্ভাবনা কতটুকু? অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে এক ক্রিকেটপ্রেমী তাঁকে এই প্রশ্ন করেন। জবাবে অশ্বিন বলেন, ‘আপনি যদি রোহিত শর্মাকে নিতে চান, তাহলে আগেই ২০ কোটি (রুপি) আলাদা করে সরিয়ে রাখতে হবে।’
পান্ডিয়ার নেতৃত্বে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে আইপিএলের গত মৌসুম শেষ করে মুম্বাই। তবে অধিনায়কত্বের বাড়তি চাপ না থাকায় ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন রোহিত। ১৪ ম্যাচে ৩২.০৮ গড়ে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ৪১৭ রান করেন ‘হিটম্যান’-খ্যাত ব্যাটসম্যান। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাঁর ১৫০ স্ট্রাইক রেট। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দলকে উড়ন্ত শুরু এনে দেওয়ায় পারদর্শী তিনি। তাঁর এই সামর্থ্যই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আরও বেশি আগ্রহী করে তুলতে পারে।
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মৌসুমের আগে রোহিতকে ৩ কোটি রুপিতে কিনেছিল বিলুপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি ডেকান চার্জার্স। ২০১১ সালে তিনি মুম্বাইয়ে যোগ দেন। ২০১৮ মৌসুম থেকে তাঁর পারিশ্রমিক হয় ১৫ কোটি রুপি। ২০২২ মৌসুম থেকে পেয়ে আসছেন ১৬ কোটি। অশ্বিনের ধারণা, বয়স বাড়লেও ২০২৫ আইপিএলের নিলামে উঠলে রোহিতের দাম কমবে না; বরং আরও বাড়বে।
আইপিএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ৬ জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারবে। খেলোয়াড় ধরে রাখা ও ছেড়ে দেওয়ার তালিকা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিসিসিআইকে জমা দিতে হবে।