রেকর্ড অষ্টম এশিয়া কাপ জয়ের আনন্দের মধ্যে কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার ভারতের সমালোচনাকারীদের কঠিন জবাব দিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ভারত ২১৩ রানে অলআউট হওয়ার পর পাকিস্তানের কিছু সংবাদমাধ্যম এবং অনেক সাবেক ক্রিকেটার ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’ আবিষ্কার করেছিলেন। বলা হয়েছিল, ভারত ইচ্ছা করে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে চাইছে, যাতে পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে না পারে!
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গতকাল শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ভারত ফাইনাল জেতার পর গাভাস্কার একহাত নিয়েছেন সেসব সমালোচকদের। এশিয়া কাপ জয় ভারতের পশ্চিম সীমান্তের ওপাড়ের ওই সব সমালোচকদের জন্য একটা ‘চপেটাঘাত’ বলে উল্লেখ করেছেন গাভাস্কার।
মিড-ডে পত্রিকায় লেখা এক কলামে গাভাস্কার বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারত ২১৩ রানে অলআউট হওয়ার পর পশ্চিম সীমান্তের ওপাড়ে যারা চিৎকার করছিল যে পাকিস্তানকে ফাইনালে খেলা থেকে বঞ্চিত করার জন্যই এটা করেছে, তাদের মুখে কষে কী চড়টাই না মারা হলো!’
এখানেই থামেননি গাভাস্কার। ওই সমালোচকদের তিনি মূর্খ আর অনুর্বর মস্তিষ্কের লোক বলেও উল্লেখ করেছেন, ‘এই সব অনুর্বর মস্তিষ্কের লোকেরা এমনকি এটাও চিন্তা করেনি যে ভারত যদি শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যেত এবং পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারাত আর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যেত, তাহলে ভারতই ফাইনালে যেতে পারত না। তাই কেন ভারত ইচ্ছা করে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে যাবে? মূর্খের দল।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের সে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ভারত ৪১ রানে জিতেছিল। রান তাড়া করতে নেমে ভারতের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪১.৩ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। এরপর অলিখিত সেমিফাইনাল হয়ে যাওয়া ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
গাভাস্কার তাঁর কলামে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান যখন শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল, আমরা ভেবেছিলাম সেই হারের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে আরও কোনো ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব আবিষ্কৃত হতে যাচ্ছে। কিন্তু সে রকম কিছু হয়নি। তারা সব ভুলে গেল এবং তাদের অধিনায়ক বাবর আজমকে ধুয়ে দেওয়ার দিকে মনোযোগ দিল।’