ডিউক বলে ব্যাটিংটা সহজ নয়, তার ওপর সকালের সেশনের কন্ডিশনও থাকার কথা পেসারদের পক্ষে। চট্টগ্রাম বিভাগের পেসারদের সেটি কাজে লাগিয়ে খুলনা বিভাগকে দ্রুত অলআউট করার সুযোগ ছিল। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন সকালে খুলনার ইনিংসে ধস নামে ঠিকই, ১৩৯ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় তারা, তবে সেটি অফ স্পিনার নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে। ১ উইকেটে ২০ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা খুলনার ব্যাটিংয়ের মূল ক্ষতিটা করেন নাঈম।
তবে নাঈমের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও খুলনা তাদের প্রথম ইনিংসে ২৮৫ রানে পৌঁছায় এনামুল হক ও জিয়াউর রহমানের সপ্তম উইকেটে ১৩৭ রানের জুটির সৌজন্যে। ওপেনিংয়ে নামা এনামুল খেলেছেন ১১০ রানের ইনিংস। ১৬৬ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান এনামুল। তাঁকে সঙ্গ দেওয়া জিয়াউর রহমান ১২৭ বলে করেন ৮৪ রান। নাঈম ৫ উইকেট নেন ১০৬ রান দিয়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর ১৪তম ৫ উইকেট। আর মাত্র ৬ উইকেট পেলে ক্যারিয়ারে ২০০ উইকেটের মাইলফলকে যাবেন তিনি।
অবশ্য শেষ বেলায় ব্যাটিংটা স্বস্তিকর হয়নি চট্টগ্রামের। ৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দলটি ৩৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে। মুমিনুল হক (০), পিনাক ঘোষ (০) ও ইয়াসির আলী (৫)—চট্টগ্রামের ব্যাটিংয়ের তিন স্তম্ভই আউট হয়েছেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরির সুযোগ হারিয়েছেন রংপুর বিভাগের অনিক সরকার। ঢাকা মহানগরকে ১৭৩ রানে অলআউট করা রংপুর ২৭৮ রানে যায় অনিকের ব্যাটিংয়েই। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১২০ বলে ৯৯ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে রংপুর এগিয়ে ২২৪ রানে।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছে তাদের জাতীয় দলের পেসাররা। প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে অলআউট হওয়ার পর ঢাকাকে আজ ২৫৬ রানে অলআউট করেছে সিলেট। খালেদ আহমেদ ৪৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন, রেজাউর রহমানের শিকার ৪৯ রানে ২ উইকেট। দিন শেষে সিলেট ১ উইকেটে ২২ রান তুলেছে।
বরিশালের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠে তরুণ পেসার নাহিদ রানার সৌজন্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে ২০৯ রান করা রাজশাহী আজ বরিশালকে অলআউট করে ২৩৩ রানে। নাহিদ এবারের মৌসুমে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৭৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো শুরু পেয়েছে তাইজুল ইসলামের রাজশাহী। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৫ রান, ৫১ রানে এগিয়ে তারা।