মেহেদী–নাসুমরাই ম্যাচে টিকিয়ে রাখে বাংলাদেশকে
মেহেদী–নাসুমরাই ম্যাচে টিকিয়ে রাখে বাংলাদেশকে

নাসুমরা টানার পর মেহেদীর কারণে ‘ম্যাচে ফিরেছে’ বাংলাদেশ

ভারতের বিপক্ষে যথারীতি টপঅর্ডারে ধস দিয়েই ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। ৫৯ রান পর্যন্ত যেতেই নেই ৪ উইকেট। এরপর ১৯৩ রানে বাংলাদেশ হারায় ৭ নম্বর উইকেটটিও। এমন পরিস্থিতিতে আড়ই শ পেরোনো সংগ্রহের কথা ভাবাই কঠিন। কিন্তু এরপরই বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা গড়ে তোলেন দুর্দান্ত এক প্রতিরোধ। শুধু প্রতিরোধই নয়, পাল্টা আক্রমণেও গিয়েছে তাঁরা!

শুরুটা করেন নাসুম আহমেদ। ৪৫ বলে খেলেন ৪৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৮ম উইকেটে শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে গড়েন ৩৬ বলে ৪৫ রানের জুটি। ২৩৮ রানে নাসুমের বিদায়ের পরও পথ হারাননি মেহেদী ও অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব। ৯ম উইকেটে এই দুজন গড়েন ১৬ বলে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি, যেখানে ৮ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। আর মেহেদী অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩ চারে ২৯ রান করে। মূলত লোয়ার অর্ডারে নাসুম, মেহেদী ও তানজিমের তিনটি ইনিংসই বাংলাদেশকে এনে দেয় ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ

বিশ্বকাপের আগে লোয়ার অর্ডারের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের পালে কিছুটা হলেও বাড়তি হাওয়া দিচ্ছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও বলেছেন, লোয়ার অর্ডারই মূলত সুযোগ করে দিয়েছিল ম্যাচটা লম্বা করার।

লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সই জয়ের স্বস্তি দিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘২৬৫ রান করলে অবশ্যই লড়াইয়ের একটা ভালো সুযোগ থাকে, বিশেষ করে যখন ১৯০ রানে আমাদের ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ওরাই আমাদের টেনে নিয়েছে। এর আগেও এ রকম পরিস্থিতি হয়েছিল। কিন্তু লেজের দিকের ব্যাটসম্যানরা তখন ভালো অবদান রাখতে পারেনি। আজ (গতকাল) তারাই সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের ম্যাচটা লম্বা করার।’

৪৫ বলে খেলেন ৪৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন নাসুম

এ ম্যাচে লোয়ার অর্ডারে ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের পর বল হাতেও দারুণ পারফরম্যান্স দেখান শেখ মেহেদী। ৯ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন গুরুত্বপূর্ণ ২টি উইকেট, যার একটি আবার সেঞ্চুরিয়ান শুবমন গিলের।

মেহেদীর পারফরম্যান্স নিয়ে জানতে চাইলে হাথুরু বলেন, ‘ম্যাচে তার যে মানসিকতা দেখেছি, সেটা অসাধারণ। আমার খুবই ভালো লেগেছে। পুরো ম্যাচেই সে আত্মবিশ্বাসী ছিল। এই ম্যাচে এক ওভারে ও অনেক রান দিয়ে দিয়েছিল। তবে সে আমাদের ম্যাচেও ফিরিয়েছে, যখন গিল ম্যাচটা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যাচ্ছিল। তার কারণেই আমরা ম্যাচে ফিরতে পেরেছি। তাকে দেখে আমি খুবই খুশি। তাকে অলরাউন্ডার হিসেবে ততটা দেখতে পারিনি আমি, তবে তাকে নিয়ে আমি খুবই খুশি।’