উদ্যাপনই সব কথা বলে দিচ্ছে। ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখেন না, এমন কোনো দর্শকও টেম্বা বাভুমার চওড়া হাসি দেখে বলে দিতে পারবেন এই সেঞ্চুরির বিশেষ কোনো মাহাত্ম্য আছে। আছেও বটে! সংখ্যাটা ২৬২১ দিন। ঠিক এতগুলো দিন পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাভুমা।
তা–ও এমন একটা সময়ে বাভুমা সেঞ্চুরি করেছেন, যখন দল ও তাঁর জন্য এমন একটা ইনিংস বড্ড প্রয়োজন ছিল। জোহানেসবার্গ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমার ১৭১ রানের অনবদ্য ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে জয়ের সুবাস পাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জেসন হোল্ডারদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ২৮৭ রান নিয়ে। এরই মধ্যে লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রানে।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি বাভুমার দ্বিতীয় আর অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরি। সিরিজের প্রথম টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় বাভুমার। সেই টেস্টের দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। তাই তাঁর ১৭১ রানের ইনিংস অনেক কিছুর জবাবও।
বাভুমার ইনিংসের মাহাত্ম্য আরেকটু স্পষ্ট হবে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোরকার্ডে চোখ রাখলে। বাভুমা ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রানের কোঠাও পার হতে পারেননি। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে ৭ নম্বরে নামা উইয়ান মোল্ডারের ব্যাট থেকে।
জোহানেসবার্গ টেস্টের তৃতীয় দিনে ৭৩ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ রানেই হারায় ডিন এলগারকে। এরপর এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জিও উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। ৩২ রানের মধ্যেই ফিরে যান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান।
মার্করামকে আউট করেন কেমার রোচ, বাকি দুই উইকেট নেন কাইল মায়ার্স। রায়ান রিকেলটন ও হেনেরি ক্লাসেনও ফিরেছেন দ্রুতই। তবে ব্যাটসম্যানদের আসা–যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্তে সহজাত ব্যাটিংটা করতে থাকেন বাভুমা। মাল্ডারের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি গড়ার পর সাইমন হার্মারের সঙ্গে গড়েছেন ৭১ রানের জুটি। তাতে প্রোটিয়াদের স্কোরটাকে নিরাপদ জায়গাতেই নিয়ে যান বাভুমা। ২টি করে উইকেট আলজারি জোসেফ ও কাইল মায়ার্সের।