পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে, বোঝা কঠিন। তবে ব্যাপারটি যে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আগেই জানা গিয়েছে, ভারত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না, আর পাকিস্তানও ‘হাইব্রিড মডেলে’ টুর্নামেন্ট করতে রাজি নয়। এ পরিস্থিতিতে আইসিসি যখন সমাধান খুঁজছে, তখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ট্যুর নিয়ে জানা গেল নতুন খবর। পিসিবি গত পরশু নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, আজ ইসলামাবাদ থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ট্যুর। করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির পাশাপাশি পাকিস্তানের নয়নভিরাম এলাকা হুনজা, স্কার্দু, মারে ও মুজাফফরবাদেও নিয়ে যাওয়া হবে এই ট্রফি। হুনজা ও স্কার্দু অবস্থান কাশ্মীরের পাকিস্তান-শাসিত গিলগিট–বালটিস্তানে, মারে পাঞ্জাবে এবং মুজাফফরবাদ পাকিস্তান–শাসিত আজাদ কাশ্মীরে।
নতুন খবর হলো, ভারত নাকি পাকিস্তানের এই ট্রফি ট্যুর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ট্যুর নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আপত্তি জানিয়েছে আইসিসির কাছে।
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে গতকাল বলেন, ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলে পিসিবির ট্রফি ট্যুর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বাইরে অন্য কোনো শহরে কিংবা স্টেডিয়ামে অথবা শপিং মলেও ট্রফি ট্যুর হলে বিসিসিআইয়ের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) তারা এটা করতে পারে না।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানিয়েছে, বিসিসিআই আইসিসিতে আপত্তি জানানোর পর পিসিবি করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে ট্রফি ট্যুর সীমাবদ্ধ রাখতে রাজি হয়েছে। এ নিয়ে পিসিবির এক সূত্রের উদ্ধৃতিও প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে পাকিস্তানে কীভাবে আরও প্রচারণা বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আইসিসির সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে পিসিবি।’
এ বিষয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তানও দিয়েছে একই খবর। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিসিআই আপত্তি জানানোর পর হুনজা, স্কার্দু, মারে ও মুজাফফরবাদে ট্রফি ট্যুর বাতিল করেছে আইসিসি। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পিসিবি এক বিবৃতিতে আইসিসির এই সিদ্ধান্ত জানার খবর নিশ্চিত করেছে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে তারা।
পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ। ভারত সেখানে খেলতে যেতে রাজি না হওয়ার পর টুর্নামেন্টটি ‘হাইব্রিড’ মডেলে আয়োজনের কথা উঠেছে। কিন্তু পাকিস্তান তাতে রাজি নয়। টুর্নামেন্টটি তারা নিজেদের দেশেই আয়োজন করতে চায়। সংবাদমাধ্যম এর আগে জানিয়েছিল, চ্যাম্পিনস ট্রফি অন্য কোনো দেশে আয়োজন করা হলে পাকিস্তান এই টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারে। এমনিতে ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু যেসব জটিলতা তৈরি হয়েছে, তাতে টুর্নামেন্ট কবে, কোথায়, কখন শুরু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।