সারা দিনে খেলা হলো ৮৩.২ ওভার। তবে সকালের পঞ্চম বলেই যেন সবচেয়ে মধুর মুহূর্তটির জন্ম হলো।
জস হ্যাজলউডের গুড লেংথের বলটি থার্ড ম্যান দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন তেজনারায়ণ চন্দরপল। এই চারে পূর্ণ হয় তেজনারায়রণের প্রথম ফিফটি, সঙ্গে ফিরে আসে বাবা শিবনারায়ণ চন্দরপলের স্মৃতি।
১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিজের প্রথম টেস্ট ইনিংসে ফিফটি করেছিলেন শিবনারায়ণ চন্দরপলও। ব্রিসবেনের সেই ম্যাচে ২৩০ বলে ৮২ রান করেন তিনি। এবার অস্ট্রেলিয়ায় নিজের অভিষেক ম্যাচে ছেলে তেজনারায়ণের ফিফটি ৭৮ বলে।
আরেকটি বড় মিল, লম্বা সময় ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে যাওয়া। গ্যাবায় বাবা ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ৫ সেশন ব্যাটিংয়ের পর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৯ রানের পাহাড়ে চাপাপড়া। তেজনারায়ণও নামলেন অস্ট্রেলিয়ার ৫ সেশন ব্যাটিংয়ের পর, মাথার ওপর ৫৯৮ রানের বোঝা নিয়ে।
তবে বাবা চন্দরপল ৫ নম্বরে ব্যাট করলেও তেজনারায়ণ খেলেছেন ওপেনিংয়ে। নতুন বলে এবং দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেল ও তৃতীয় দিনের সকালে সামলেছেন হ্যাজলউড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নদের। স্টার্ক আর লায়ন অবশ্য ২০১২ সালে শিবনারায়ণের বিপক্ষেও বোলিং করেছেন।
তেজনারায়ণের স্মৃতিকাতরতার ম্যাচটিতে অবশ্য তৃতীয় দিন শেষে ভালো অবস্থায় নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার ৪ উইকেটে ৫৯৮ রানের পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা। তেজনারায়ণের ৫১ রানের পর ক্রেগ ব্রাফেটের ৬৪ রানই দলীয় সর্বোচ্চ।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন কামিন্স ও স্টার্ক। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারে ২০০তম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স।
প্রথম ইনিংসে ৩১৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষ ১১ ওভার ব্যাটিং করে উসমান খাজাকে হারিয়ে ১ উইকেটে ২৯ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে এখন ৩৪৪ রানে।