বাংলাদেশ–নেপাল

তানজিম ৯.৫, মোস্তাফিজ ৯

সব সমীকরণকে পাশ কাটিয়ে আবারও সেই বোলারদের নৈপুণ্যেই নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশ পরবর্তী রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলো। ব্যাটিং ও ফিল্ডিং নিয়ে যথেষ্ট আক্ষেপ থাকলেও এক বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ জয় এবং সেরা আট দলের একটি হওয়ার ব্যাপারটিকেই আজ উদ্‌যাপন করতে চাই।

তানজিদ হাসান ২/১০
সম্পূর্ণ অপরিচিত একটা উইকেটে প্রথম বলেই এতটা ঝুঁকি নেওয়া হয়তো সমীচীন নয়। একজন প্রথাগত ওপেনার হিসেবে ভাগ্যের ওপর নির্ভর না করাই ওর জন্য মঙ্গলজনক হবে।

লিটন দাস ৪/১০
ব্যাটিংয়ে নিজের ওপর আস্থার অভাব বেশ স্পষ্ট। উইকেটকিপিংটা অবশ্য সন্তোষজনক।

নাজমুল হোসেন ৪/১০
এমন আউট আগেও হয়েছে। রানের খরা চললেও অধিনায়কত্বে মুনশিয়ানার পরিচয় দিচ্ছে।

সাকিব আল হাসান ৭/১০
চেষ্টা ছিল ম্যাচের অবস্থা ও উইকেট বিবেচনা করে খেলার, যা ইতিবাচক। ২ উইকেট পেলেও এমন পিচেও বলে বাঁক খাওয়াতে দেখলাম না, যা কিছুটা হতাশার।

১৭ রান করেছেন সাকিব

তাওহিদ হৃদয় ৪/১০
এখনো ভালো ছন্দে আছে বলেই মনে হয়। তবে যথেষ্ট মনঃসংযোগ আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এমন উইকেটে পরিশ্রম করেই রান করতে হবে।

মাহমুদউল্লাহ ৬.৫/১০
উইকেটের সঙ্গে মোটামুটি মানিয়ে নিয়েছিল। সঙ্গী ভুল কলে সাড়া দিয়ে আউট হয়েছে। বোলিংটা সন্তোষজনক।

জাকের আলী ৬/১০
চেষ্টা করেছে এক প্রান্ত আটকে রাখতে। ব্যাটিং অ্যাপ্রোচটা সন্তোষজনক।

তানজিম হাসান ৯.৫/১০
৪ ওভারের এক আগুনঝরা স্পেল এবং মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দিয়েছে। আমারও ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

ম্যাচসেরা তানজিম

রিশাদ হোসেন ৭/১০
ব্যাটিংয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৩ রান। বোলিং সন্তোষজনক। উইকেট থেকে পাওয়া অতিরিক্ত টার্ন সামলাতে কিছুটা হিমশিম খেয়েছে। চমৎকার ক্যাচিং।

তাসকিন আহমেদ ৬.৫/১০
মোস্তাফিজের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ১৮ রানের জুটি এ ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। বোলিংয়ে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।

মোস্তাফিজুর রহমান ৯/১০
এ বিশ্বকাপের অন্যতম ‘মিস্ট্রি’ বোলার। গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙা এবং মিতব্যয়ী বোলিংয়ের সেরা সমন্বয়। আজও ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ৭ রানে ৩ উইকেট।