৩৭তম ওভারে ৩ উইকেটে ২১৩ রান, নিউজিল্যান্ড এগোচ্ছিল বেশ বড় সংগ্রহের দিকেই। তবে করাচিতে সিরিজের শেষ ওয়ানতেতে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহটা ২৯৯ রানের বেশি হয়নি। ৩০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানও থেমেছে ৪৭ রান দূরে। ইফতিখার আহমেদের ৯৪ আর আগা সালমানের ৫৭ রান সত্ত্বেও পাকিস্তান গুটিয়ে গেছে ২৫২ রানে। এই হারে আগের ম্যাচেই ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা পাকিস্তান শীর্ষস্থান হারিয়েছে।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করা নিউজিল্যান্ডের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানই ভালো শুরু পেয়েছিলেন। তবে ফিফটির দেখা পেয়েছেন মাত্র দুজন।—উইল ইয়ং ও টম ল্যাথাম। ইয়ং ৯১ বলে ৮৭ করেছেন। ল্যাথাম ৫৮ বলে ৫৯। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ উইকেট জুটির প্রতিটিই ৫০ পেরোলেও ১০০ ছোঁয়নি কোনোটিই। ৪৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, দুটি করে উইকেট নেন উসামা মীর ও শাদাব খান।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ২৯ রানের ওপেনিং জুটির পর ম্যাট হেনরির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শান মাসুদ। ইনফর্ম ফখর জামান লড়াই করছিলেন, কিন্তু তিনি ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। বাবর আজমকে ফেরান শিপলি। মোহাম্মদ রিজওয়ানও ৯ রানের বেশি করতে পারেননি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইফতিখার আহমেদ ও আগা সালমান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে ৯৭ রানের জুটি। কিন্তু সেটি যথেষ্ট হয়নি। ইফতিখার ৭২ বলে ৯৪ রান করেন ৮টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায়। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও দলকে জেতাতে পারেননি সঙ্গীর অভাবে। আগা সালমান ৫৭ বলে করেন ৫৭ (৬টি চার ও একটি ছক্কা)। এর বাইরে শাদাব খান ১৪ আর উসামা মীর ২০ রান করেন।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন হেনরি শিপলি ও রাচিন রবীন্দ্র। একটি করে উইকেট পেয়েছেন অ্যাডাম মিলনে, ম্যাট হেনরি এবং ইশ সোধি।