আইপিএলের কার্যকারীতা প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ক্রিকেটাররা
আইপিএলের কার্যকারীতা প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ক্রিকেটাররা

রোহিত-কোহলিদের ব্যর্থতায় কাঠগড়ায় সেই আইপিএল

আইপিএল! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায়ের পর এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ভারতের জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। আইপিএলের কারণে টি-টোয়েন্টির দুনিয়ায় ভারতের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হলেও মাঠের খেলায় একেবারেই তার উল্টো।

আইপিএল আসার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারেনি ভারত, এমনকি ফাইনালই খেলেছে শুধু একবার। যে আইপিএলকে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের জন্য আশীর্বাদ ভাবা হচ্ছিল, সেটিই এখন যেন অভিশাপে পরিণত হয়েছে।

এর আগে আইপিএলকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে পিসিবি সভাপতি রমিজ রাজা। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই লিগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুনীল গাভাস্কার ও ওয়াসিম আকরামও।

কোহলির হতাশ মুখ

গাভাস্কার তো দেশের জন্য খেলোয়াড়দের দেশের প্রতি নিবেদন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আইপিএলে থেকে কোন উপকারটা ভারত পেয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন আকরাম।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাটুকুও করতে পারেননি কোহলি-রোহিতরা। এর পর থেকেই সমালোচকদের কাঠগড়ায় ভারতীয় দল। সঙ্গে টানা হচ্ছে আইপিএল প্রসঙ্গও।

পাকিস্তান কিংবদন্তি আকরাম যেমনটা বলছিলেন, ‘সবাই বলছিল, আইপিএল থেকে ভারত অনেক সুবিধা পাবে। কারণ, এটি ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালেই ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। যখন থেকে আইপিএল শুরু হলো, এখন পর্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো শিরোপা জিততে পারেনি।’

ভারতের বাইরে গিয়ে খেলার অনুমতি না পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আকরাম। তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘ওদের খেলোয়াড়েরা ভারতের বাইরে গিয়ে কোনো লিগ খেলে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একটা বাড়তি লিগ খেলার অনুমতি দিলে ভারতের মনোভাব কি বদলাবে?’

বাটলারদের কাছে উড়ে গেছে রোহিতরা

এমনকি আইপিএলের পর ভারতীয় পেসাররা গতি কমিয়ে দেন বলেও অভিযোগ করেছেন আকরাম, ‘এশিয়া কাপের সময় আমি দেখেছি, আইপিএলের পর তারা গতি কমিয়ে দেয়। আভেশ খান আইপিএল খেলার সময় ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বল করেছিল, তবে একটি আইপিএলের পর সেটি ১৩০-৩৫–এ নেমে যায়। বিসিসিআইয়ের এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করা উচিত।’

এর আগে একই প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারও। তিনি বলেছিলেন, ‘কাজের চাপের কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিরিটি ও মদন (সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার) ঠিকই বলেছিল। শুধু ভারতের হয়ে খেলার সময়ই কেবল কাজের চাপের কথা মনে হয়। যখন আইপিএল খেলেন, পুরো টুর্নামেন্টটা খেলেন। এখানে সেখানে ভ্রমণ করেন, তখন এমন কিছু মনে হয় না। তখন আপনার ক্লান্ত লাগে না। এটা ঠিক না।’