ছবিটিতে হাসিমুখে থাকা আমির বল হাতে হতাশ করেছেন
ছবিটিতে হাসিমুখে থাকা আমির বল হাতে হতাশ করেছেন

শেষ ২ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে দলকে হারালেন আমির

অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের অধিনায়ক ক্রিস গ্রিন বোধ হয় সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন! সিপিএলে তাঁর দলের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের। গ্রিন শেষ ওভারটায় বল তুলে দেন অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ আমিরের হাতে।

তিনি কী আর জানতেন, আগের ওভারের মতো এই ওভারেও আমির ১৮ রান দেবেন । প্রথম ৪ বলে ৮ রান দেওয়া আমিরের শেষ দুই বলে গায়ানাকে করতে হতো ৮ রান। পাকিস্তানি পেসার আমির দুটো বলই করলেন ওয়াইড লাইনে, ফুল লেংথে। তাতে গায়ানা অলরাউন্ডার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ওভারের পঞ্চম বলে পয়েন্ট দিয়ে ৪ মারার পর শেষ বলে ছক্কা মেরেছেন লং অনের ওপর দিয়ে।

শুধু এই ওভারে নয়, নিজের তৃতীয় ও দলের ১৮তম ওভারেও ১৮ রান দিয়েছেন আমির। ৩ ওভারে ৪৭ রান প্রয়োজন এমন সমীকরণে বোলিং করতে এসে রোমারিও শেফার্ডের সামনে দুটি ছক্কা হজম করেন।

পরের ওভারে শেফার্ডকে আউট করে অ্যান্টিগার ম্যাচটা হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছিলেন শামার স্প্রিঙ্গার। শেফার্ড যখন আউট হন, তখনো গায়ানার প্রয়োজন ছিল ৯ বলে ২২ রান। আমিরের সামনে তাই আগের ওভারের ‘দুঃখ’ ভোলার সুযোগ ছিল। তবে তিনি সেটা পারেননি। আমির অবশ্য নিজের প্রথম দুই ওভারে রান দিয়েছিলেন মাত্র ৩।

অ্যান্টিগার একাদশে আমির ও স্প্রিঙ্গার ছাড়া বোলার ছিলেন গ্রিন, ইমাদ ওয়াসিম ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। ইমাদ ও অ্যালেনের ওভার আগেই শেষ করা গ্রিন নিজ স্পেল শেষ করেছিলেন ইনিংসের ১৬তম ওভারে। শেষ দিন ওভারে একটি ওভার ছিল স্প্রিঙ্গারের, দুটি আমিরের। অর্থাৎ আমির জন্যও ডেথ ওভারে কাজটা ঠিক করে রেখেছিলেন গ্রিন।

এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল অ্যান্টিগা। প্রথম ম্যাচটিতেও শেষ বলে গিয়ে হেরেছিল অ্যান্টিগা। সেদিন অবশ্য এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়নি। গত ২৮ আগস্টের সে ম্যাচে অ্যান্টিগার বিপক্ষে সেন্ট কিটসের শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান।

খরুচে আমির অবশ্য গ্রিনকে পাশে পাচ্ছেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। দুটি ম্যাচই শেষ ওভারে গেল। দুই ম্যাচ থেকে আমরা এক পয়েন্টও পাইনি। এই ম্যাচগুলোকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আগে। আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, তাতে আমি গর্বিত। আমির বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। যখন আপনি কঠিন ওভারগুলো করবেন, মাঝেমধ্যে আপনি মানুষ হিসেবে ধরা দেবেন। এখান থেকে আমাদের সামনে এগোতে হবে।’