চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচে টিকে থাকতে হলে বিশেষ কিছু করতে হতো খুলনা বিভাগের নুরুল হাসান ও আফিফ হোসেনকে। রাজশাহীর শেখ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে গতকাল দ্বিতীয় দিনের খেলায় শতক তুলে নেওয়া নুরুল আজ ১৩৪ রানে আউট হন।
আফিফের ইনিংস থেমেছে ৮১ রানে। বাকিদের দাঁড়াতেই দেননি চট্টগ্রামের নাঈম হাসান। ১৭.৪ ওভারে ৭৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে খুলনার ইনিংসে ধস নামান এই অফ স্পিনার। তাতে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ২৯৪ রানে। ম্যাচ জিততে চট্টগ্রামের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬১ রান। ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য টপকে যায় চট্টগ্রাম। ম্যাচসেরা নাঈম।
টেস্ট দলের আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলামও ৭ উইকেট নিয়ে রাজশাহী বিভাগের জয়ে অবদান রেখেছেন। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে বরিশাল বিভাগ ৬ উইকেটে ১২৫ রান করে। বরিশালের পাঁচটি উইকেটই নিয়েছেন রাজশাহীর অধিনায়ক তাইজুল। আজ তৃতীয় দিনের খেলায় আরও ২ উইকেট নেন। বরিশাল অলআউট হয় ২১৮ রানে।
চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য রাজশাহীর লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২৪ রান। ইমরানুজ্জামান (৫৮) ও এসএম মেহরবের (৬৬*) অর্ধশত রানের ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে সে লক্ষ্য টপকে যায় রাজশাহী। ২ ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নেওয়া তাইজুল হয়েছেন ম্যাচসেরা।
দিনের আরেক ম্যাচে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের ৪৩৫ রানের জবাবে আজ ঢাকা মহানগর প্রথম ইনিংসে করেছে ২৯৫ রান। আল আমিন জুনিয়র ৭১ ও আবু হায়দার ৬৩ রান করেছেন। ১৪০ রানে এগিয়ে থেকে দিনের শেষবেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। তৃতীয় দিন শেষে রংপুরের লিড ১৫১ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও সিলেট বিভাগের ম্যাচটা জমে উঠেছে। গতকাল মাহিদুল ইসলামের ১০৬ রানের সৌজন্যে ঢাকা প্রথম ইনিংসে ২৬৬ রান করেছে। জবাবে রাহাতুলের অপরাজিত ৬২ রানে ভর করে ২১১ রান করেছে সিলেট।
৫৫ রানে এগিয়ে থাকা ঢাকা আজ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৪ রান করে অলআউট হলে সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৯ রান। শেষবেলায় রান তাড়া করতে নেমে ৩৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট। শেষ দিন জয়ের জন্য সিলেটের দরকার ১৭০ রান, ঢাকার দরকার ৬ উইকেট।