খেলা চালিয়ে যাবেন; কিন্তু অধিনায়কত্ব আর করবেন না—এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। চোট নিয়ে সব ম্যাচে খেলতে পারবেন না বলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে খেলা চালিয়ে গেলেও আপাতত মাঠের বাইরেই থাকছেন তামিম। ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না।
প্রায় এক বছর ধরে চোটের সঙ্গে লড়াই করছেন তামিম। সর্বশেষ আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজের মধে৵ জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরেও আসেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক। এরপর দেড় মাসের ছুটি নিয়ে সপরিবার চলে যান দুবাইয়ে। সেখান থেকে লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে গত সোমবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন।
কাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আর ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম। সংবাদ সম্মেলনে তামিমের চোট নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘সম্প্রতি যে লন্ডনে তার কোমরের এল ফোর এবং এল ফাইভ অংশে ত্রুটি ধরা পড়েছে। ওখান থেকে ব্যথা হয়। সেখানে ইনজেকশনের একটা অপশন ছিল। নার্ভটা ব্লক করে দুই দিন তারা অপেক্ষা করেছে ইনজেকশনের ইফেক্ট কী হয়, তা দেখার জন্য। এরপরও কিছুটা ব্যথা ছিল। এরপর দ্বিতীয় ইনজেকশন দেওয়া হয়, এর ফলে আরও দুদিন অপেক্ষা করতে হয়। এরপর ব্যথা কিছুটা কমেছে।’
জালাল ইউনুস এরপর যোগ করেন, ‘২৮ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত হালকা রিহ্যাব। দুই সপ্তাহ এখানে চলে যাবে। এরপর খেলার মতো না হলেও তাকে নিয়ে আস্তে আস্তে কাজ করা হবে। এ সময়ে আরও দুই সপ্তাহ চলে যাবে তাঁর নেটে আসতে। তো তার অনুশীলনে পুরোদমে ফেরার ব্যাপারটা হতে হতে ২১ আগস্ট হয়ে যাবে।’ জালাল ইউনুস বলতে থাকেন, ‘সবাই জানেন যে দল এশিয়া কাপে যাবে ২৬ আগস্ট। তো আমরা বিসিবি প্রধান, চিকিৎসক, ফিজিও, তামিমসহ সবাই কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই এশিয়া কাপে তাঁকে ফেরানো সম্ভব হবে না।’
এশিয়া কাপে খেলার ব্যাপারে যদি জোরাজুরি করতাম, তাহলে খেলতে পারতাম। কিন্তু ওইটা কেউই চাচ্ছে না, এ জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।তামিম ইকবাল
বিসিবি প্রধান নাজমুল অবশ্য বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ খেলতে গেলে তো ওর ইনজুরি পারমান্যান্ট ড্যামেজ হয়ে যাবে, সেটা আমরা চাই না। আমি পূর্ণ নিশ্চিত, সে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরবে।’ তামিম বলেন, ‘আমিও পুরোপুরি নিশ্চিত নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরতে পারব। যেন কোনো বাড়তি সমস্যা না হয়, এ কারণেই বাড়তি সময়টা নেওয়া। যেন আমি সেরা অবস্থায় নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরতে পারি। এশিয়া কাপে খেলার ব্যাপারে যদি জোরাজুরি করতাম, তাহলে খেলতে পারতাম। কিন্তু ওইটা কেউই চাচ্ছে না, এ জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।’