সিরিজের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড গড়ে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯.৪ ওভারেই তাড়া করে ফেলেছিল তারা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের রেকর্ড ছিল সেটাই।
দ্বিতীয় ম্যাচে দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া কোনো রেকর্ড না গড়লেও ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জশ ইংলিস। এডিনবরার গ্রেঞ্জ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তাঁর রেকর্ডময় সেঞ্চুরির দিনে স্কটল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-০–তে জিতে নিল মিচেল মার্শের দল।
টসে হেরে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া তোলে ৪ উইকেটে ১৯৬ রান। জবাবে স্কটল্যান্ড ১৬.৪ ওভারে ১২৬ রানে গুটিয়ে গেছে। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া স্কটল্যান্ডের শুরুটা মন্দ হয়নি। ২৩ রানে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেয় তারা।
গত ম্যাচে ঝড় তোলা ট্রাভিস হেড আজ আউট হন প্রথম বলেই। দুই ওপেনারের বিদায়ে আজ পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়া রান তুলতে পারে ৫৫। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা ভালো হলেও গত ম্যাচের তুলনায় এটা বেশ কম। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ৬ ওভারে ১১৩ রান করেছিল।
২৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ক্যামেরন গ্রিনকে সঙ্গে নিয়ে ৯২ রানের জুটি গড়েন ইংলিস। ফিফটি পান মাত্র ২০ বলে। ৭ ছক্কা ও ৭ চারে শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন ইংলিস। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল অ্যারন ফিঞ্চের, ৪৭ বলে। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ফিঞ্চ। টি-টোয়েন্টিতে ইংলিসের প্রথম সেঞ্চুরিও এসেছে ৪৭ বলে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলেরও ৪৭ বলে সেঞ্চুরি আছে।
১৯৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্কটল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ছাড়া আর কেউ ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। ৪২ বলে ৫৯ রান করেন ম্যাকমুলেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেছেন জর্জ মানসি। অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস নিয়েছেন ৪ উইকেট।