সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায় একটু চাপে ছিল নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে চোটের কারণে ছিটকে যান অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন।
শুক্রবার রাতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর একপ্রকার দেয়ালে পিঠই ঠেকে গিয়েছিল টম ল্যাথামদের। কিন্তু দুই অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি আর ট্রেন্ট বোল্ট দারুণ বল করে নিউজিল্যান্ডকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেন।
বোল্ট-সাউদি মিলে প্রথম ১০ ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছয় ব্যাটসম্যানকে। ২৭ রানে ৬ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানরা এরপর আর চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডি-এল নিয়মে নিউজিল্যান্ড ৫০ রানের জয় তুলে নেয়। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল নিউজিল্যান্ড।
ব্রিজটাউনের ম্যাচে উইন্ডিজের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের তিনজন আউট হন শূন্য রানে, দুজন ২ রান করে। ২৩তম ওভারে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে রানআউটে পতন হয় সপ্তম উইকেটেরও। ম্যাচ পরে ৪১ ওভারে নেমে এলেও স্বাগতিকদের জন্য লক্ষ্য কমে মাত্র ১ রানের। নবম উইকেটে ইয়ানিক কারিয়াহ ও আলজারি জোসেফ অবশ্য জয়ের পথে এগোনোর চেষ্টা করেছিলেন।
১০.৪ ওভারের জুটিতে তুলে ফেলেছিলেন ৮৫ রান। কিন্তু ৩১ বলে ৪৯ রান করা জোসেফকে সাউদি বোল্ড করে দিলে সেই সম্ভাবনাও উবে যায়। স্যান্টনারের বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া কারিয়াহ করেন ৮৪ বলে ৫২ রান। ৪ উইকেট নেন সাউদি। ৩ উইকেট বোল্টের।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস প্রায় একাই টেনে নিয়ে যান ওপেনার ফিন অ্যালেন। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কিউইরা যে দুই শর সংগ্রহ পার করেছে, সেটি এই ওপেনারের ১১৭ বলে খেলা ৯৬ রানের ইনিংসের কারণে। ৮৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪১ রানের সঙ্গ দেন ড্যারিল মিচেল। ম্যাচসেরাও হয়েছেন অ্যালেনই।
সিরিজনির্ধারণী শেষ ওয়ানডে কাল রোববার।