গল টেস্ট জয়ের পর পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিকের উচ্ছ্বাস
গল টেস্ট জয়ের পর পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান আবদুল্লাহ শফিকের উচ্ছ্বাস

গলে ‘হিসাব–নিকাশের এভারেস্ট’ ডিঙিয়েছে পাকিস্তান

গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অবিশ্বাস্য এক জয়ই পেয়েছে পাকিস্তান। রেকর্ড বইও ওলটপালট করে দিয়েছে বাবর আজমের দল। পঞ্চম দিনে ৪ উইকেটে পাওয়া জয়ের পথে দুটি রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান। গলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতেছে তারা। এ ছাড়া চতুর্থ ইনিংসে গলে সর্বোচ্চ রানের দলীয় ইনিংসটিও এখন তাদেরই অধিকারে।

এমন কীর্তি গড়ার পর প্রশংসায় ভেসে যাচ্ছেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা। গলের স্পিনবান্ধব উইকেটে পাকিস্তান চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে যে ব্যাটিং করেছে, সেটাই ক্রিকেট বিশ্বের নজড় কেড়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান রমিজ রাজাও তাঁর খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। পাকিস্তান দল গলে যেটা করেছে, সেটাকে তিনি দেখছেন পাহাড় ডিঙানোর মতো একটি কীর্তি হিসেবে।

গল টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন ব্যাটসম্যানরা

পাকিস্তানের গল টেস্ট জয়ের পর রমিজ বাবর–শফিকদের প্রশংসা করেছেন টুইট করে। তাঁর প্রশংসা ছিল এ রকম, ‘বিশ্বকে ভুল প্রমাণ করতে এই পাকিস্তান দলকে পরিসংখ্যানের এভারেস্ট পেরোতে হতো এবং সেটা তারা করেছে! অভিনন্দন বাবর আজম।’

পাকিস্তানের জয়ের লক্ষ্য ছিল ৩৪২ রান। এই ম্যাচের আগে গলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার। ২০১৯ সালের আগস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিতেছিল তারা ৬ উইকেটে।

গল টেস্ট শেষে মাঠ ছাড়ছেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা

গলের স্পিনবান্ধব উইকেটে টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে কখনো ৩০০ রানের বেশি করতে পারেনি কোনো দল। এই ভেন্যুতে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসটা ঠিক ৩০০। ২০১২ সালে ইনিংসটা পাকিস্তান দলেরই ছিল। যদিও ৫১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে পাকিস্তান হেরেছিল ২০৯ রানে।

এ দুটি রেকর্ড পাকিস্তান ভাঙতে পেরেছে মূলত আবদুল্লাহ শফিকের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ৪০৮ বলে ৭টি চার ও এক ছয়ে ১৬০ রান করে অপরাজিত ছিলেন শফিক। ক্রিকেট বিশ্ব আলাদা করে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে তাঁকে। রমিজও এর বাইরে নন। শফিকের ইনিংসটিতে মুগ্ধ রমিজ বলেছেন, ‘পাকিস্তান হয়তো আবদুল্লাহ শফিকের মধ্যে পরবর্তী ব্যাটিং মহাতারকা পেয়ে গেছে। খুব শান্ত, ধীরস্থির, গোছানো এবং মানসম্পন্ন।’