বাবর আজম ও বিরাট কোহলি
বাবর আজম ও বিরাট কোহলি

ওয়াসিম আকরামের চোখে

বাবর নন কোহলি এগিয়ে, বুমরা নন আফ্রিদি

ওয়াসিম আকরাম খানিকটা বিপদেই পড়েছিলেন!

বাবর আজম নাকি বিরাট কোহলি, কে সেরা? ওয়াসিম আকরামের সামনে এই প্রশ্নটা করেছিল ফক্স স্পোর্টস। আকরাম যে জবাবটা দিয়েছেন তাতে পাকিস্তানি সমর্থকেরা কিছুটা ভ্রু কুঁচকাতেই পারেন। পাকিস্তান কিংবদন্তি কোহলির সঙ্গে বাবরের তুলনায় কোহলিকেই এগিয়ে রাখছেন। তবে যসপ্রীত বুমরা আর শাহিন শাহ আফ্রিদির মধ্যে তুলনায় আকরামের ভোট আফ্রিদির পক্ষেই।

কে সেরা, এই প্রশ্নে সমর্থকদের মধ্যে বৈরিতা থাকলেও এই দুই ক্রিকেটারের মধ্যে সেই মনোভাব নেই। উল্টো একে অন্যকে প্রায়ই প্রশংসায় ভাসান। এই তো কদিন আগেই বাবরকে তিন সংস্করণের শীর্ষ ব্যাটসম্যান বলেছিলেন কোহলি।

অন্যদিকে পাকিস্তান অধিনায়ক কোহলি সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি কোহলির কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। এরপরও বাবর-কোহলির তুলনা হয় সব সময়ই। পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নটা কঠিন। এই জন্যই তো আমি নির্বাচক হই না। পাকিস্তানে হয়তো অনেকেই সমালোচনা করবে, তবে আমি অবশ্যই বাবরের চেয়ে কোহলিকে এগিয়ে রাখব। বাবর কোহলির পথেই আছে, কোনো সন্দেহ নেই। বাবরও একজন আধুনিক কিংবদন্তি। সে হয়তো কোহলিকে ছুঁয়ে ফেলবে, তবে তাতে সময় লাগবে।’

২২ গজে গতির ঝড় তোলেন আফ্রিদি ও বুমরা

আকরামের কথাতে যুক্তিও আছে। কোহলি-বাবর দুজনের ক্যারিয়ারের শুরুটা ভিন্ন সময়ে। বাবর যখন ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন, তত দিনে কোহলি শীর্ষ ক্রিকেটার। বাবর এখন আছেন ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে, তবে কোহলির ফর্মও পড়তির দিকে নয়। বর্তমানে বাবর তিন সংস্করণের ফর্ম বিবেচনায় খানিকটা এগিয়েই আছেন। তবে পুরো ক্যারিয়ারের অর্জনে কোহলি বাবর থেকে অনেক এগিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কোহলির সেঞ্চুরির সংখ্যা ৭৬টি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধুই শচীন টেন্ডুলকারের। অন্যদিকে বাবরের তিন সংস্করণ মিলিয়ে সেঞ্চুরি ৩১টি।

এখানে কোহলিকে এগিয়ে রাখলেও পেসার হিসেবে বুমরার চেয়ে আফ্রিদিকে এগিয়ে রাখছেন আকরাম। কেন আফ্রিদিকে এগিয়ে রাখছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আকরাম, ‘বুমরার চেয়ে আমি আফ্রিদিকে এগিয়ে রাখব। একজন বাঁহাতি পেসার হিসেবে ও আমাকে স্টার্কের কথা মনে করিয়ে দেয়। দুজনই শুরুতে ফুল লেংথে উইকেট নেওয়ার জন্য বল করে। এই কারণেই ওকে আমার পছন্দ। ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, যদি চোটমুক্ত থাকে। আফ্রিদি ওর ব্যাটিংয়েরও অনেক উন্নতি করেছে। ক্রিজে এসেই দু-একটা ছক্কা মেরে দিতে পারে। আফ্রিদি একজন সত্যিকারের উইকেটশিকারি।’