দল মিলিয়ে প্রথম সেশনে ৬৬ রানে পড়েছে ১০ উইকেট
দল মিলিয়ে প্রথম সেশনে ৬৬ রানে পড়েছে ১০ উইকেট

২৮ রানে নেই অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৮ উইকেট

১ উইকেটে ৬১ রান—দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় টেস্ট শেষে অস্ট্রেলিয়া বোধ হয় খানিকটা এগিয়েই ছিল। নিজেদের মাঠে প্যাট কামিন্সদের এগিয়ে থাকাই বোধ হয় পছন্দ করলেন না রবীন্দ্র জাদেজারবিচন্দ্রন অশ্বিন। লাঞ্চের আগেই অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে দিলেন ১১৩ রানে। হিসাবটা কি করে ফেলেছেন?

আজ সকালে হাতে থাকা ৯ উইকেটে মাত্র ৫২ রান তুলতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যেও একটু ভাগ করে নিলে দেখা যাবে, অস্ট্রেলিয়া ২৮ রান করতেই হারিয়েছে শেষ ৮ উইকেট। এমনিতেই তো অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দেখে মার্ক ওয়াহ বলেননি— ‘অস্ট্রেলিয়া এর চেয়ে খারাপ ব্যাটিং আর করতে পারত না।’

বাজে ব্যাটিং তো বটেই, সঙ্গে কৃতিত্ব দিতে হবে ভারতীয় বোলারদেরও। বোলার মানে দুই স্পিনার জাদেজা ও অশ্বিন। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো এই দুই স্পিনার মিলেই তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের এক ইনিংসের ১০ উইকেট। এর আগে যা করেছিলেন ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন অশ্বিন। নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। তবে আজ যেখানে জাদেজার জয়জয়কার। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে জাদেজা নিয়েছেন ৭ উইকেট, আর অশ্বিন ৩টি।

স্মিথ ফিরেছেন অশ্বিনের বলে

তৃতীয় দিনে অবশ্য শুরুর পথটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন অশ্বিনই। যে শুরু ট্রাভিস হেডকে ৪৩ রানে আউট করে। এরপর স্টিভেন স্মিথও তাঁর শিকার। স্মিথ যখন আউট হয়ে যান, তখন স্কোরবোর্ডে ৩ উইকেটে ৮৫ রান। স্পিন সহায়ক উইকেট আর ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় যা মোটেই খারাপ ছিল না। সেটিকে ভয়াবহ খারাপ বানিয়ে দেন জাদেজা। আর মাত্র ২৮ রান যোগ করেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এর মধ্যে ৯৫ রানের সময় যা হলো, তা রীতিমতো দুঃস্বপ্ন। চার–চারটি উইকেট পড়েছে এই স্কোরে। যার ৩টিই নিয়েছেন জাদেজা, দুটি পরপর দুই বলে।

অস্ট্রেলিয়ার শেষ ৭ উইকেটের ৬টিই জাদেজার। সেটিও অবিশ্বাস্য এক স্পেলে—৫.১–১–৬–৬। ৪২ রানে ৭ উইকেট জাদেজার ক্যারিয়ার–সেরা। টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর ৭ উইকেট। এর আগে যা নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০১৬ সালে চেন্নাইয়ে (৭/৪৮)। এই টেস্টের ৭ উইকেটের ৫টিই নিয়েছেন ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে।

জাদেজা নিয়েছেন সাত উইকেট

এর আগে এক ইনিংসে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করার সর্বশেষ কীর্তি শোয়েব আখতারের, ২০০২ সালে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। স্পিনারদের মধ্যে সর্বশেষ এক ইনিংসে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেছেন আরেক ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ১৯৯২ সালে)।

১১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লাঞ্চের আগেই কেএল রাহুলকে হারায় ভারত। দুই দল মিলিয়ে প্রথম সেশনে ৬৬ রানে পড়েছে ১০ উইকেট। এর ৯টিই যে অস্ট্রেলিয়ার, সেটাই আসলে একরকম লিখে দিয়েছে এই টেস্টের ফল।