বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার সময় থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন একদিন বাংলাদেশ জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন। এর আগে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে সে দায়িত্ব পালন করলেও সেটা তো ছিল ঠেকার কাজ চালানো। নাজমুলের বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্নটা সত্যিকার অর্থে পূরণ হলো আজ। বিসিবির আজকের সভায় ২০২৪ সালের বাকি সময়ের জন্য তিন সংস্করণেই জাতীয় দলের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি নাজমুল। তবে গলায় সমস্যার কারণে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানালেন খুদে বার্তায়। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এই প্রতিবেদককে জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ…আমি আসলেই রোমাঞ্চিত। আমার একটা স্বপ্ন সত্যি হলো।’
গত ১৭ জানুয়ারি এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাজমুল বলেছিলেন, ‘যখন আমি ক্রিকেট বলে অনুশীলন শুরু করি, তখন ওভাবে চিন্তা করিনি যে অধিনায়ক হব। কিন্তু যখন বোঝা শিখলাম, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলা শুরু করলাম, তখন থেকেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছাটা এসেছে। আমি এইচপিতে অধিনায়ক ছিলাম, ‘এ’ দলে ছিলাম। বয়সভিত্তিকেও করা হয়েছে।’
জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হওয়াটা অধিনায়কত্বের ব্যাপারে নাজমুলকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
বিসিবি যখন নাজমুলের সঙ্গে অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা করে, নাজমুল তখনই বলেছিলেন, দায়িত্ব দেওয়া হলে সেটা লম্বা সময়ের জন্যই চান তিনি। তাতে দলটাকে গুছিয়ে নিতেও সুবিধা হয়। জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুলের প্রথম দায়িত্ব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ। তবে এ বছরের বাকি সময়ে তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে জুনে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
নাজমুল অবশ্য বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন বলেই বেশি রোমাঞ্চিত। বিশ্বকাপ নিয়ে বাড়তি কোনো রোমাঞ্চ আছে কি না, জানতে চাইলে তাঁর বার্তা, ‘সেটা তো একটু থাকবেই…।’
এত দিন তিন সংস্করণেই অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। কাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, এখনো অধিনায়ক হিসেবে সাকিবই তাঁদের পছন্দ ছিলেন। কিন্তু চোখের সমস্যা থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় আসন্ন সিরিজগুলোতে তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। বিশ্বকাপ মাথায় রেখে তাই নাজমুলকেই তাঁরা একবারে দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছেন।