আগামী ১৪ অক্টোবর বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে ভারত–পাকিস্তান
আগামী ১৪ অক্টোবর বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে ভারত–পাকিস্তান

ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামলেই ভয়ে থাকেন বাবররা, বলছেন মঈন খান

সর্বশেষ এশিয়া কাপেও ভারত-পাকিস্তানের দুটি ম্যাচ ছিল—একটি প্রথম পর্বে, আরেকটি সুপার ফোরে। অনেকে আবার ভারত-পাকিস্তান ফাইনালও আশা করেছিল এশিয়া কাপে। কিন্তু পাকিস্তান সুপার ফোরের সীমানা পার হতে পারেনি বলে তা হয়নি।

বৃষ্টির কারণে এশিয়া কাপের প্রথম পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ফলের মুখ দেখেনি। আর সুপার ফোরে পাকিস্তানকে ২২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। সেই ম্যাচের পর বাবর আজমদের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা।

ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ এখন আর হয় না। তাই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই দেখতে ক্রিকেট–বিশ্ব তাকিয়ে থাকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের টুর্নামেন্ট ছাড়াও আইসিসির ইভেন্টগুলোর দিকে। এসব টুর্নামেন্টে নিয়মিতই দেখা হয় ভারত-পাকিস্তানের।

এবারের বিশ্বকাপের ফরম্যাট অনুযায়ী প্রথম পর্বে সব দলই সবার বিপক্ষে খেলবে। তাই প্রথম পর্বেই দেখা হয়ে যাবে ভারত-পাকিস্তানের। ৫ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ১৪ অক্টোবর। দুই দল মুখোমুখি হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।

পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য মঈন খান

এ ম্যাচের আগে শুরু হয়ে গেছে দুই দেশের সাবেকদের কথার লড়াই। কেউ এ ম্যাচে পাকিস্তানকেই এগিয়ে রাখছেন, কেউ আবার বলছেন ভারতের কথা। শাহিন আফ্রিদি-হাসান আলীদের নিয়ে গড়া পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপের কথা বলছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন রোহিত শর্ম-বিরাট কোহলিসমৃদ্ধ ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে।

এর মধ্যেই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মঈন খান সমালোচনা করেছেন বাবর-রিজওয়ানদের। অতীতে ভারতের কাছে বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপে হেরে যাওয়া ম্যাচগুলোর প্রসঙ্গ টেনে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বলেছেন, ভারতের বিপক্ষে খেলার সময় ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা।

এশিয়া কাপে ভারতের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান

এশিয়া কাপের হারটির কথা টেনে মঈন বলেছেন, ‘আমি এটা দেখেছি। খেলোয়াড়দের ভীত মনে হচ্ছিল। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল, তারা বাবরকে পরামর্শ দিতে ইতস্তত করছে; সেটা হোক মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি বা শাদাব খান। এটা স্পষ্ট ছিল যে তারা দল হিসেবে খেলেনি। কোনো আলোচনা ছিল না, সেটা থাকলেও হয়তো মাঠে এর প্রতিফলন ছিল না।’

মঈন খান এরপর যোগ করেন, ‘ভারতের বিপক্ষে খেলতে গেলেই পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ভয় পেয়ে যাওয়া খেলোয়াড়দের পরামর্শ কাজে লাগে না।’