এই সূর্যকুমার যাদবকেই মিস করছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, মিস করছিল আইপিএল। পুরো ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ফিফটি হলো পাঁচটি। তবে অনায়াসেই একটিকে আলাদা করা যায়, সূর্যকুমারের ফিফটি।
তিন মাসেরও বেশি সময় চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন সূর্যকুমার। কিন্তু আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে সূর্যকুমার খেললেন চেনা সূর্য রূপেই। করলেন আইপিএল ক্যারিয়ারের দ্রুততম ফিফটি।
সূর্যের নিজেকে ফেরানোর দিনে মুম্বাইও পেয়েছে বড় জয়। বেঙ্গালুরুর তোলা ৮ উইকেটে ১৯৬ রান মুম্বাই টপকে গেছে ২৭ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে দিয়েই। পাঁচ ম্যাচে এটি মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় জয়। আর ছয় ম্যাচে বেঙ্গালুরুর পঞ্চম হার, এর মধ্যে চারটিই টানা।
গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন সূর্যকুমার। পরে জানা যায় স্পোর্টস হার্নিয়া, গোড়ালি ও হাঁটুর চোট তিনটিতেই ভুগছেন তিনি। সেরে উঠতে সময় লাগায় মিস করেছেন আইপিএলে মুম্বাইয়ের প্রথম তিন ম্যাচ। ওই তিন ম্যাচেই হারে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
সূর্যকুমার চোট কাটিয়ে প্রথম মাঠে নামেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। তবে দুই বল খেলে কোনো রান তোলার আগেই আউট হয়ে যান। আজ বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে যখন মাঠে নামেন, ততক্ষণে মুম্বাইয়ের রান ১ উইকেটে ১০১।
প্রথম চার বল কিছুটা দেখেশুনেই খেলেছেন, নিয়েছেন ৫ রান। এরপর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন আকাশ দীপের ওপর দিয়ে। এক ওভারেই ৩ ছয়, ১ চারসহ নেন ২৪ রান। পরে রিস টপলির ওভার থেকে নিয়েছেন ৩ চার ১ ছয়সহ ১৮ রান। আর বলের পর বল বাউন্ডারি বের করতে খেলেছেন স্কুপ, ফ্লিকসহ নিজের ‘প্রথাগত’ সব শট।
সূর্যকুমার আইপিএল ক্যারিয়ারে ২৩তম ফিফটির মাইলফলক স্পর্শ করেন ১৭ বলে, যা তাঁর দ্রুততম। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আউট হয়েছেন ১৯ বলে ৫২ রানে বিজয়কুমারের বলে ক্যাচ তুলে।
ম্যাচ-জয় পর্যন্ত মাঠে না থাকতে পারলেও বেশ তৃপ্তি নিয়ে ডাগআউটে ফিরেছেন সূর্য। ওয়াংখেড়ে ভরা গ্যালারির করতালির মধ্যে মাঠ ছেড়েছেন তাদের উদ্দেশে ব্যাট নাড়িয়ে।
সূর্যকুমারের আগে মুম্বাইয়ের হয়ে ফিফটি করেছেন ঈশান কিষানও। ২৩ বলে ফিফটি করা এই বাঁহাতি ৩৪ বলে খেলেন ৬৯ রানের ইনিংস। এর আগে বেঙ্গালুরুর হয়ে ফিফটি করেন ফাফ ডু প্লেসি (৪০ বলে ৬১), রজত পতিদার (২৬ বলে ৫০) ও দিনেশ কার্তিক (২৩ বলে ৫২*)।
তবে সবাইকে ছাড়িয়ে ম্যাচসেরা যশপ্রীত বুমরা। মুম্বাইয়ের এই পেসার ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট, যার শুরুটা করেন বিরাট কোহলিকে দিয়ে (৯ বলে ৩ রান)।