নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ
নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ

নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়ে বাংলাদেশের ‘প্রথম’

টস

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি বাংলাদেশ। হোবার্টের বেলেরিভ ওভালের এ ম্যাচে প্রথম আলোর লাইভ আপডেটে আপনাকে স্বাগত!

বাংলাদেশ একাদশ

১৫ জনের দল থেকে জায়গা হয়নি শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইবাদত হোসেন।

তিন জন পেসারের সঙ্গে দলে স্বীকৃত স্পিনার হিসেবে আছেন সাকিব আল হাসান, খেলানো হচ্ছে মোসাদ্দেক হোসেনকে। ফলে খেলছেন আট জন ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশ একাদশ

সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।

দুই প্রতিপক্ষ

বেলেরিভ ওভালে আজ বাংলাদেশ দলের বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে কোনটি? নেদারল্যান্ডস দল নাকি হোবার্টের হাড়কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা বাতাস?

প্রথমটি, অর্থাৎ খেলার প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখার নিয়ম নেই। সামনে যে দলই আসুক, অভিনয় করে হলেও বলতে হয় তারা ভালো দল। নিজেদের দিনে পারে যে কাউকে হারিয়ে দিতে।

হোবার্ট থেকে তারেক মাহমুদ

নেদারল্যান্ডস একাদশ

ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিত সিং, বাস ডি লিডি, টম কুপার, কলিন অ্যাকারম্যান, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), টিম প্রিঙ্গল, লোগান ফন বিক, শারিজ আহমেদ, ফ্রেড ক্লাসেন, পল ফন মিকেরেন।

তাঁকে ছাড়া

২০০৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সাত আসরে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে ৩৩টি। সবগুলো ম্যাচেই ছিলেন মুশফিক।

ওপেনিংয়ে সৌম্য-নাজমুল

ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিই ধরে রাখল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেনের সঙ্গে ওপেন করতে এসেছেন সৌম্য সরকার।

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন অবশ্য প্রথম আলোতে লেখা কলামে ওপেনিংয়ে চেয়েছিলেন লিটন দাসকে।

প্রথম ওভারে দুই চার

শুরুতে মুভমেন্টের দেখা পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার ফ্রেড ক্লাসেন। লাইন এলোমেলো করে অবশ্য করেছেন দুটি ওয়াইড—লেগ সাইড ও অফ সাইডে। একজন স্লিপ ফিল্ডার নিয়ে বোলিং করেছেন, সৌম্যর আউটসাইড-এজ গেছে দ্বিতীয় স্লিপ দিয়ে। ওই শটে এসেছে প্রথম বাউন্ডারি। পায়ের ওপর থেকে এরপর স্কয়ার লেগে সৌম্য মেরেছেন আরেকটি চার। প্রথম ওভারে এসেছে ১২ রান।

ইতিবাচক শুরু নাজমুলের

প্রথম ওভারে দুই চারের পর পরের দুই ওভারে কোনো বাউন্ডারি আসেনি। চতুর্থ ওভারে চতুর্থ বোলার হিসেবে আসেন বাস ডি লিডি। পরপর দুই বলে দুই চার মেরেছেন নাজমুল। প্রথমে স্লটে পেয়ে লং অন দিয়ে, এরপর স্ট্রেট ড্রাইভে। পরের ওভারে ফিরেছেন ফ্রেড ক্লাসেন, প্রথম দুই দলেই দুই চারে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন নাজমুল—ক্লিপ করে ফাইন লেগের পর স্ট্রেট ড্রাইভে।

৫ ওভারে বাংলাদেশ ৪৩/০।

ফিরলেন সৌম্য

প্রান্ত পরিবর্তন করে এসেছেন ফন মিকেরেন। শর্ট লেংথের বলটা পুল করতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি সৌম্য, শর্ট মিডউইকেটে দিয়েছেন সহজ ক্যাচ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ভেঙেছে ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি, সৌম্য ফিরেছেন ১৪ বলে ১৪ রান করে।

পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৭ রান।

গেলেন নাজমুলও

এর আগে এ টুর্নামেন্টে নেদারল্যান্ডসের প্রতিটি ম্যাচেই দ্বিতীয় ওভার করেছেন টিম প্রিঙ্গল। তবে ওপেনিংয়ে দুই বাঁহাতি বলে এ বাঁহাতি স্পিনার আজ এলেন পঞ্চম ওভারে, দ্বিতীয় ওভার করেছিলেন অফ স্পিনার কলিন অ্যাকারম্যানকে।

প্রিঙ্গল অবশ্য সফল হলেন প্রথম বলেই। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টেনে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছেন নাজমুল, মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ২০ বলে ২৫ রান করে। ৪ রানের মধ্যে ফিরে গেছেন দুই ওপেনার।

এবার লিটন

শুরু থেকেই টাইমিং করতে পারছিলেন না লিটন দাস। ফন বিককে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিলেন। ভালো শুরুর পর দ্রুত ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

সাকিবকে ফেরালেন ১৯ বছর বয়সী শারিজ

নিজের অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সাকিব আল হাসানের। ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার শারিজ আহমেদের বিশ্বকাপে এটি প্রথম ম্যাচ। সেই শারিজের বলেই ক্যাচ দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

স্লগ সুইপ করেছিলেন সাকিব, মিডউইকেটে লাফিয়ে উঠে দারুণ একটি ক্যাচ নিয়েছেন ডি লিডি। দশম ওভারের আগেই নেই ৪ উইকেট। সে ৪ উইকেট গেছে ২০ রানের মধ্যেই!

ছক্কার পর বৃষ্টি

সাকিব যে শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন, অমন শটেই ম্যাচের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন আফিফ হোসেন। অবশ্য এরপরই নেমেছে বৃষ্টি। আম্পায়াররা বন্ধ করে দিয়েছেন খেলা।

আবার শুরু খেলা

বৃষ্টিতে বেশিক্ষণ বন্ধ থাকল না খেলা। মাঠে ফিরে ইনিংস পুনর্গঠনের কাজ ইয়াসির ও আফিফের। ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের রান ৭২।

বোল্ড ইয়াসির

আগের বল ছিল শর্ট, এরপর ফুল ও স্ট্রেট। ইয়াসির আলী ফ্লিক করতে গিয়ে নাগালই পেলেন না ফন বিকের বলটার। বৃষ্টির পরও আটকাল না ধস।

বাংলাদেশ ইনিংসের এখন পর্যন্ত যে দৃশ্য...

এক বছর পর!

২৪ অক্টোবর, ২০২১। বিশ্বকাপে শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪০ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম।

এরপর আরেকটি ৪০ বা এর বেশি রানের ওপেনিং জুটি দেখতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হলো আরেকটি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। হোবার্টে সেটি এলো ওই ২৪ অক্টোবরই।

এর মধ্যে বাংলাদেশ খেলেছে ২৩টি ম্যাচ।

আফিফের চার-ছয়

২৮ বল পর প্রথম বাউন্ডারিটি মেরেছেন আফিফ, শারিজকে সুইপ করে চার মেরে। এরপর মিডউইকেট দিয়ে মেরেছেন নিজের দ্বিতীয় শক্কা। ১৫তম ওভারে উঠেছে ১২ রান, বাংলাদেশ পেরিয়েছে ১০০ রান।

বেঁচে গেলেন আফিফ

টিম প্রিঙ্গল কেন উদ্‌যাপন করছেন না, হুট করে তাতে বিস্ময় জেগেছিল। তিনি যে ফেলে দিয়েছেন সহজ একটি ক্যাচ! ফন বিকের শর্ট বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন আফিফ, তবে একাধিক চেষ্টাতেও সেটি নিতে পারেননি প্রিঙ্গল। আফিফ বেঁচে গেছেন ২৮ রানে।

ব্যর্থ নুরুলও

স্কয়ার লেগে বেশ বড় একতা পকেট, নুরুল খেললেন ঠিক সেখানেই। বাস ডি লিডির বলে হাঁটু গেড়ে খেলে সোজা সেখানে থাকা ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়লেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক। ১৮ বলে করেছেন ১৩ রান, তাঁর ইনিংস গতি পায়নি মোটেও। উইকেট হারিয়েই চলেছে বাংলাদেশ!

আলগা আউট আফিফও

যে লেংথ আর লাইনে ছিল, খেলতে পারতেন ইচ্ছামতো। ডাউন দ্য লেগে শর্ট লেংথের সে বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন আফিফ। প্রিঙ্গলের হাতে জীবন পাওয়ার পর আর ১০ রান যোগ করতে পেরেছেন এ বাঁহাতি। আফিফ ফিরেছেন ২৭ বলে ৩৮ রান করে।

১৪৪ পর্যন্ত গেল বাংলাদেশ

সশেষ ওভারে এলো ১০ রান, শেষ ৪ ওভারে ৩৪ রান। তাতে বাংলাদেশ গেছে ১৪৪ রান পর্যন্ত। হোবার্টে বাংলাদেশের ইনিংস গতি পায়নি সেভাবে।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ভালো একটা শুরুই এনে দিয়েছিল নাজমুল হোসেন ও সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি। ২০২১ সালের অক্টোবরের পর এই প্রথমবার ওপেনিংয়ে ৪০-পেরোনো জুটির দেখা পেল বাংলাদেশ। তবে সে শুরুটা নষ্ট করতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

৭ বলের মধ্যে দুই ওপেনার ফেরার পর ধস নেমেছে বাংলাদেশ ইনিংসে। হোবার্টে বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা, তবে এর আগে-পরে ৩৩ রান তুলতে বাংলাদেশ হারিয়েছে ৫ উইকেট! মাঝের ওভারগুলোতে অমন ধসের চাপ সামাল দেওয়ার একটু চেষ্টা করেছিলেন আফিফ হোসেন, শেষদিকে এসে ১২ বলে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক।

বিশ্বকাপে কখনোই এত কম রান ডিফেন্ড করে জেতেনি বাংলাদেশ।

প্রথম বলেই উইকেট তাসকিনের

অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়েছেন বিক্রমজিত সিং। একমাত্র স্লিপে সামনে ঝুঁকে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন ইয়াসির আলী। তাতেই ‘পারফেক্ট’ শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ প্রথম বলেই পেয়েছেন উইকেট!

হ্যাটট্রিকের সামনে তাসকিন!

প্রথম বলে উইকেট।

দ্বিতীয় বলে উইকেট।

প্রথম বাঁহাতি বিক্রমজিত সিং। এরপর ডানহাতি বাস ডি লিডি। অফ স্টাম্পের বাইরের চ্যানেলে লাইন ধরে রাখা বলে খোঁচা দিয়েছেন ডি লিডি, উইকেটের পেছনে ভুল করেননি নুরুল হাসান। প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে তাসকিন আহমেদ!

৩ রান, ২ উইকেট

হ্যাটট্রিক পাননি তাসকিন, তবে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত শুরু। ১৪৪ রান তাড়ায় নেদারল্যান্ডস চাপে পড়ে গেছেন প্রথম ২ বলেই! হ্যাটট্রিক বলে ৩ রান নিয়েছেন কলিন অ্যাকারম্যান, প্রথম ওভারে এসেছে ওই ৩ রানই।

৩ বলে ২ রানআউট

দারুণ টাইমিংয়ে ছয় মারার পরের বলে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট—ব্যাটসম্যানের জন্য এর চেয়ে বাজে অনুভূতি হয়তো হয় না আর! ম্যাক্স ও’ডাউডের হলো সেটিই।

চতুর্থ ওভারে এসেছিলেন সাকিব আল হাসান, প্রথম বলেই মিডউইকেট দিয়ে দারুণ টাইমিংয়ের শটে ছক্কা মারেন ও’ডাউড। পরের বলে মিডউইকেটে খেলেছিলেন, নিতে চেয়েছিলেন ডাবলস। তবে অ্যাকারম্যান তাতে সাড়া দেননি। স্কয়ার লেগ থেকে ছুটে আসা আফিফ হোসেনের থ্রো যতক্ষণে নন স্ট্রাইক প্রান্তে এসেছে, ও’ডাউড ক্রিজের বেশ বাইরে। ফেরার সময় তাঁর চোখেমুখের হতাশাই বলে দিচ্ছিল সব।

ঠিক ১ বল পরই হয়েছে আরেকটি রানআউট! এবারও দারুণ ফিল্ডিং। ডিপ পয়েন্টে খেলেছিলেন অ্যাকারম্যান। প্রথমে স্লাইড করে দারুণ ফিল্ডিং করেছেন নাজমুল, ওদিকে তিন রান নিতে গিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। নাজমুলের থ্রোটাও ছিল দারুণ। তবে স্ট্রাইক প্রান্তে কুপার ফিরতে পারেননি সময়মতো, কোনো বল না খেলেই রানআউট হয়ে ফিরে গেছেন কুপার।

পাওয়ারপ্লে শেষে

কাভারে লাফিয়ে উঠে হাত লাগিয়েছিলেন, তবে ক্যাচটা নিতে পারেননি ইয়াসির আলী। হাসান মাহমুদের বলে ড্রাইভ করেছিলেন অ্যাকারম্যান।

পাওয়ারপ্লের শেষ বলে জায়গা বানিয়ে কাভার দিয়ে চার মেরেছেন অ্যাকারম্যান। ৬ ওভারে উঠেছে ৩২ রান (৪ উইকেট)।

মোস্তাফিজের পর বোলিংয়ে সৌম্য

সপ্তম ওভারে মোস্তাফিজের পর সৌম্য সরকারকে এনেছেন সাকিব আল হাসান। মোস্তাফিজের বলে গালিতে ছিলেন ইয়াসির, তবে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের একটি শট গেছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্লিপের মাঝামাঝি অঞ্চল দিয়ে।

হোবার্টে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, ডিএলএসে অবশ্য বেশ পিছিয়ে নেদারল্যান্ডস। ৮ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৩ রান, এ সময়ে পার স্কোর ৬৪।

রানআউট, রানআউট

অধিনায়কের শিকার অধিনায়ক

প্রথম রিভার্স সুইপে সাকিবের ধীরগতির ডেলিভারিতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি, স্কট এডওয়ার্ড পেয়েছিলেন ২ রান। পরের বলে আবার রিভার্স সুইপ করেছিলেন, এবার সোজা ক্যাচ গেছে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা হাসান মাহমুদের কাছে। ৫৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। অ্যাকারম্যানের সঙ্গে এডওয়ার্ডসের জুটিতে উঠেছে ৪৪ রান।

শেষ বলে স্লটে পেয়ে সোজা সাইটস্ক্রিন বরাবর ছক্কা মেরেছেন অ্যাকারম্যান। নেদারল্যান্ডসের অন্যতম আশা অ্যাকারম্যানই।

প্রিঙ্গল বাঁচলেন, প্রিঙ্গল ফিরলেন

আফিফ হোসেনের সহজ ক্যাচ ছেড়েছিলেন টিম প্রিঙ্গল। এবার প্রিঙ্গলের ক্যাচ ফেললেন নাজমুল হোসেন। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। হাসানের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে বড় শটের চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে তাঁর, বোল্ড হয়েছেন এক বল পরই। ৬৬ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস।

আবার বৃষ্টি

হোবার্টে ম্যাচ দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ বৃষ্টিতে। স্বাভাবিকভাবেই ডিএলএসে এগিয়ে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের পার স্কোর এখন ৯৮ রান, ৬ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে ৬৬ রান।

মিনিট দশেক বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হয়েছে আবার। দুই দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলেও এখন পর্যন্ত ওভার কাটা যায়নি কোনো।

অ্যাকারম্যানের ফিফটি

মোসাদ্দেককে ছক্কা মেরে ওভার শুরু করেছিলেন, চতুর্থ বলে ডাবলস নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটি পূর্ণ করলেন কলিন অ্যাকারম্যান। ডাচদের হয়ে এখন পর্যন্ত একা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

মোসাদ্দেক এরপর করেছেন ফুলটস। গতকাল এমসিজিতে শেষ ওভারে মোহাম্মদ নেওয়াজের ফুলটসে নো নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মোসাদ্দেকের এই নো নিয়ে তেমন বিতর্কের সুযোগ নেই। ফ্রি হিটে ক্যাচ তুলেছিলেন ফন বিক।

১৪তম ওভারে সব মিলিয়ে এসেছে ১৪ রান। শেষ ৩৬ বলে প্রয়োজন ৬৫ রান।

হাসানের দ্বিতীয়

‘ওয়েল ডিরেক্টেড বাউন্সার’।

শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করছেন হাসান মাহমুদ। সেটির সর্বশেষ পুরস্কারটি পেলেন তিনি। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি ফন বিক, স্কয়ার লেগে তাসকিনের ভুল হয়নি। অ্যাকারম্যানকে রেখে ফিরে গেলেন আরও একজন ডাচ ব্যাটসম্যান। ৮১ রানে সপ্তম উইকেট হারাল নেদারল্যান্ডস।

হাসান: ২/১৫

৪ ওভার, ১৫ রান, ২ উইকেট। এমন ফিগার নিয়ে শেষ করলেন হাসান।

চোটের কারণে এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি, তবে দলে ফিরেই ছাপ রেখে চলেছেন তরুণ পেসার।

তাসকিনের চতুর্থ শিকার—অ্যাকারম্যান!

১৭তম ওভারে নিজের শেষটি করতে এসেছেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়েছেন শারিজ আহমেদ। আবার হার্ডলেংথে বলে, জোরের ওপর খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলেছেন শারিজ।

হাসান ও সাকিবের ওভার শেষ, মোস্তাফিজের বাকি একটি। পঞ্চম বোলার হিসেবে আসা মোসাদ্দেক ও সৌম্য ২ ওভার করে দিয়েছেন ২১ রান। একজন বোলার কম নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ, এখন পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে নেদারল্যান্ডসে সেটির সুবিধা কাজে লাগানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবে কি না সেটি নিয়ে আছে সংশয়। তবে সামনের ম্যাচগুলোতে এদিকে নিশ্চিতভাবেই ভাবতে হবে বাংলাদেশকে।

অ্যাকারম্যান অবশ্য টিকে ছিলেন তখনো, মিড অনের মাথার ওপর তাসকিনকে মেরেছেন চার। পঞ্চম বলে শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন। অ্যাকারম্যান ফিরেছেন ৪৮ বলে ৬২ রান করে, তাসকিন পেয়েছেন চতুর্থ উইকেট। ফেরার পথে অবশ্য অ্যাকারম্যান আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, বলটি শর্ট হিসেবে ধরা হয়েছে কি না।

শেষ বলে ইয়র্কার করেছিলেন, তবে উইকেট পেলেন না। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করলেন তাসকিন। টি-টোয়েন্টিতে এই ফাস্ট বোলারের এটিই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।

ফ্লাই নুরুল ফ্লাই 

৬ বলে প্রয়োজন ২৪ রান 

মোস্তাফিজের করা ১৯তম ওভারে এসেছে ৭ রান। শেষ ওভারে দরকার ২৪ রান, যেটি করতে এসেছেন সৌম্য সরকার।

৯ রানে জিতল বাংলাদেশ

সৌম্যর করা শেষ ওভারের প্রথম ৩ বলে ওয়াইডসহ ৪ রান। চতুর্থ বলে ফুলটস পেয়ে ছক্কা মেরেছিলেন ফন মিকেরেন। পঞ্চম বলে আবার তুলে মেরেছিলেন, তবে বাউন্ডারির বেশ ভেতরেই পড়েছে সেটি। শেষ বলে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিকেরেন। ৯ রানে জিতে বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের এটি প্রথম জয়।

১৪৪ রানের সংগ্রহ লড়াই করার মতোই ছিল। তবে তাসকিন আহমেদ প্রথম ২ বলেই ২ উইকেট নিয়ে চাপে ফেলে দেন নেদারল্যান্ডসকে। এরপর সাকিবের ওভারে ২ রানআউটে চাপ আরও বাড়ে ডাচদের। সেটি থেকে আর বের হতে পারেনি তারা।

বলতে গেলে একা লড়াই করেছেন কলিন অ্যাকারম্যান, তবে দলকে পার করাতে পারেননি। ব্যাটিং খুব একটা সন্তোষজনক না হলেও বোলিং ও ফিল্ডিং সাকিবকে সন্তুষ্টই করার কথা। অবশ্য পঞ্চম বোলার হিসেবে মোসাদ্দেক ও সৌম্যকে খেলানোর কৌশল নিয়ে বাংলাদেশ দলকে ভাবতে হবে নতুন করেই।

আগামী ২৭ অক্টোবর সিডনিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

ম্যাচসেরা তাসকিন

জয়টা দরকার ছিল আমাদের। শুরুতে মুভমেন্ট দেখেছিলাম, প্রথম ইনিংসে। এরপর টেস্ট ম্যাচ লেংথে বল করেছি।
তাসকিন আহমেদ, বাংলাদেশ পেসার

বলছেন সাকিব

২০০৭ সাল থেকে সবগুলো বিশ্বকাপে খেলেছি, তবে আমরা জিতিনি (দ্বিতীয় পর্বে)। এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ অধিনায়ক

সেই জয়টা তো এলো, এখন...

মেঘলা দিনেও মসৃণ পাহাড়ি পথে গাড়ির হেড লাইট জ্বালিয়ে ঠিকই সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২৭১ মিটার উচ্চতার ওয়েলিংটন মাউন্টেনের চূড়ায় উঠে যাওয়া যায়। কিন্তু চার ওভারের মধ্যে ১৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের ১৪৪ রানের চূড়া আর ছোঁয়া হয়নি ডাচদের।