বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে আসে ৪৫ ওভারে। তবু আয়ারল্যান্ড তোলে ৩১৯ রান। এই রান তাড়া করে জিততে হলে বাংলাদেশকে বিশেষ কিছুই করতে হতো। নাজমুল হোসেনের সেঞ্চুরি ও তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে সেটিই করেছে বাংলাদেশ দল। দুজনের গড়ে দেওয়া মঞ্চে দাঁড়িয়ে তুলির শেষ আঁচড়টা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এতেই ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের মুখেও তাই শোনা গেল নাজমুল ও হৃদয়ের প্রশংসা। পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে এসে তিনি বলছিলেন, ‘এই রান করা সম্ভব মনে হচ্ছিল। কারণ মাঠের আকৃতি ছোট। আর উইকেট খুবই ভালো। আমার মনে হয়েছে আজকের উইকেট প্রথম ম্যাচের থেকেও ভালো। আমাদের ম্যাচটাকে গভীরে নিতে হতো। কিন্তু আজ শুরুটা ভালো হয়নি। তবে আমি শান্ত ও হৃদয়ের ব্যাটিংয়ে খুবই খুশি। এই ধরনের মাঠে সাধারণত বাউন্ডারির খোঁজ করতে হয় না। মাঠের আকৃতির কারণে বাউন্ডারি এমনিতেই আসে।’
হৃদয়ের কথাটা আলাদা করে বললেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘তরুণদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। বিশেষ করে হৃদয়। শুধু এই সিরিজে নয়, ঘরের মাঠেও সে ভালো খেলেছে। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুটা খুবই ভালো হয়েছে। আশা করি সে অনেক দূর যাবে। সে যেভাবে খেলছে, সেটা যদি ধরে রাখতে পারে, তাহলে দলের জন্য খুবই ভালো হবে।’
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে নাজমুলও জানিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির অনুভূতি, ‘খুবই খুশি। আমার প্রথম সেঞ্চুরি।’ তবে ইনিংস লম্বা করার ক্ষেত্রে হৃদয়ের ভূমিকার কথাও বলেছেন তিনি, ‘ও আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছে। ও যে গতিতে রান করেছে, আমার ব্যাটিংটা সহজ হয়েছে।’