মুমিনুল হক ক্যাচটা ঠিকঠাকই নিয়েছিলেন, তা নিয়ে সংশয় ছিল না। তবে একদিকে বাংলাদেশ দল যখন উদ্যাপনে মত্ত, বিরাট কোহলি ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা দিয়েও দাঁড়িয়ে গেলেন। এরপর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় কোহলিকে। আসলে কী ঘটেছিল, এ বিষয়ে অবশ্য কিছু বলতে পারেননি লিটন দাস বা মোহাম্মদ সিরাজ।
ভারত ২৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর নিজের স্বাভাবিক পজিশন চারের বদলে পাঁচে ক্রিজে আসেন কোহলি। তাঁর আগে পাঠানো হয় বাঁহাতি অক্ষর প্যাটেলকে। তবে শুবমান গিল আউট হওয়ার পর আসতে হয় ভারতের সাবেক অধিনায়ককেই। শুরু থেকেই রক্ষণের দিকেই মনোযোগ ছিল তাঁর।
তাইজুল ইসলাম অবশ্য কোহলির রক্ষণকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিলেন। আম্পায়ার শরফউদ্দৌলা কোহলিকে এলবিডব্লুও দেন, তবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নেওয়া রিভিউ সফল হয় তাঁর। রিপ্লে দেখায়, প্যাডের আগে কোহলির ব্যাটের ভেতরের অংশে লেগেছিল বল।
২ ওভার পর অবশ্য মিরাজকে অনেকটা পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ তোলেন কোহলি। বাঁ দিকে নিচু হয়ে মুমিনুল হক নেন দারুণ একটি ক্যাচ। হতাশ কোহলি এরপর হাঁটা শুরু করেন ড্রেসিংরুমে। কোহলির মতো ব্যাটসম্যানের উইকেট, বাংলাদেশ দলের উদ্যাপন স্বাভাবিকভাবেই ছিল বেশ তীব্র।
উদ্যাপন করতে থাকা বাংলাদেশ দলের জটলা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে পড়েন কোহলি। এরপর তাঁর দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায় বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবকেও। বাংলাদেশ দলের কেউ তাঁকে কিছু একটা বলেছেন বা ইঙ্গিত করেছেন, এমন ইঙ্গিত করতে থাকেন কোহলি। কোহলির দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় আম্পায়ার শরফউদ্দৌলাকেও।
পরে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাসকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না কী হয়েছে। তাৎক্ষণিক কী হয়েছে আমি জানি না।’
ভারত দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মোহাম্মদ সিরাজকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল এ প্রসঙ্গে। কী ঘটেছে, তা জানাতে পারেননি এ পেসারও, ‘সত্যি বলতে আমি তখন আইস বাথ নিচ্ছিলাম, তাই বলতে পারি না তখন কী হয়েছে। সোজা আইস বাথে চলে যাই। তাই জানি না আসলে কী হয়েছে।’
এদিন অবশ্য লিটন দাসকে আউট করার পর মুখে আঙুল এনে চুপ করে থাকতে বলার ইশারাও করেছিলেন সিরাজ। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘দর্শকেরা চিৎকার করছিল, এ কারণেই। তারা কিছু একটা বলছিল, তাই তাদের দিকে এমন করেছি।’
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টেও লিটনকে আউট করার পর এমন করেছিলেন সিরাজ। তাঁর সঙ্গে এমন করার পেছনের কারণ হিসেবে আলাদা কিছু নেই বলেই দাবি তাঁর, ‘কিছুই নেই। এটা তো ভদ্রলোকের খেলা। আর এত ভাবার কিছুও নেই। ফাস্ট বোলাররা একটু কথা বলবেই, ব্যাটসম্যানদের মনোযোগ সরাতে চাইবে। এমন ব্যাপার থাকবেই। এটাই মজা।’