ডালাসে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে ও নিউইয়র্কে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের পরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় পড়ে যায় পাকিস্তান। গত শুক্রবার লডারহিলে যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হলে বিদায় নিশ্চিত হয় তাদের।
এরপরও পাকিস্তান দলকে মার্কিন মুলুকে থেকে যেতে হয়েছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিছক আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচটি খেলার জন্য। গত রোববার আইরিশদের বিপক্ষে সেই ম্যাচে সান্ত্বনার জয়ে হতাশাময় বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেছে বাবর আজমের দল।
সাধারণত কোনো টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলার পরপরই আয়োজক দেশ ছাড়তে হয় ছিটকে পড়া দলকে। পাকিস্তান দলও যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলার ৫ দিন হতে চললেও দলের সবাই এখনো দেশে ফেরেননি।
দেশে না ফেরাদের এই তালিকায় অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে আছেন মোহাম্মদ আমির, হারিস রউফ, শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিম ও আজম খান।
অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, ব্যর্থতার বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেই অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে বলে বাবর-আমিররা পাকিস্তানগামী বিমানে চড়েননি। তাহলে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোথায় গেলেন?
পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যে গেছেন অধিনায়ক বাবর আজম, দুই ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ, দুই স্পিনার শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিম এবং উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান আজম খান। তাঁদের কেউ কেউ ইংলিশ কাউন্টি ক্লাবের হয়ে খেলার চিন্তাভাবনা করছেন। বর্তমানে ইংল্যান্ডে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ ভাইটালিটি ব্লাস্ট চলছে। কয়েকজন আবার লন্ডনে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান।
এই ৬ খেলোয়াড়ের মধ্যে দুজনের তো যুক্তরাজ্যের সঙ্গে গভীর সম্পর্কও আছে। ইমাদ ওয়াসিমের জন্ম যুক্তরাজ্যের সোয়ানসিতে, আমিরের স্ত্রী নার্জিস ব্রিটিশ নাগরিক।
আপাতত পাকিস্তান দলের কোনো খেলা নেই। আগামী আগস্টে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা বাবরদের। সব মিলিয়ে লম্বা ছুটিই পাচ্ছেন সবাই। এ সুযোগে পাকিস্তানের প্রধান কোচ গ্যারি কারস্টেনও তাঁর দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছেন। সহকারী কোচ আজহার মেহমুদ আবার দ্বৈত নাগরিক। তিনিও গেছেন যুক্তরাজ্যে।
পাকিস্তান দল ছেড়ে দেশে ফেরার আগে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কারস্টেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান দলে কোনো ঐক্য নেই। তারা এটাকে একটা দল বলে, কিন্তু এটা কোনো দল নয়। কেউ কাউকে সহযোগিতা করে না, সবাই আলাদা হয়ে থাকে। (কোচিং ক্যারিয়ারে) আমি অনেক দলের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতি কখনো দেখিনি।’