বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকেই বেঁচে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নর্কিয়া। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় হঠাৎ করেই স্পাইডার ক্যামেরার সঙ্গে ধাক্কা খান প্রোটিয়া ক্রিকেটার। ধাক্কাটা বেশ ভালোই ছিল। ধাক্কার চোটে মাটিতে পড়ে যান তিনি।
বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলায় ওই সময় ব্যাটিং করছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথ। ফিল্ডিং করছিলেন নর্কিয়া। সে সময়— মাথার ওপরে ঝুলতে থাকা স্পাইডার ক্যামেরাটি দ্রুতই মাথা বরাবর নেমে আসে। সেটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যান নর্কিয়ে। পুরো ঘটনাটিই সরাসরি সম্প্রচারিত হয় টেলিভিশনে। চোট অবশ্য খুব বড় কিছু ছিল না। মাঠও ছাড়তে হয়নি তাঁকে। তবে বড় বিপদ হলেও হতে পারত।
এই মেলবোর্নেই গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় স্পাইডার ক্যামেরা বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছিল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে পাকিস্তানের শান মাসুদের মারা শট স্পাইডার ক্যামেরায় বাড়ি খেয়ে নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়েছিল। সেই সময় ব্যাপারটি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া।
দিনের শেষে নর্কিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ভালো আছেন। কোনো সমস্যা নেই। তাঁর বাঁ কাঁধে ও কনুইয়ে তিনি আঘাত পেয়েছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ব্যাপারটি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
টেস্ট ম্যাচ সম্প্রচারকারী সংস্থা ফক্স স্পোর্টসও নিজেদের ‘ভুল’ স্বীকার করে বলেছে, ‘স্পাইডার ক্যামেরা অপারেটরের ভুলে এমনটি হয়েছে। টেস্টের তৃতীয় দিন থেকে স্পাইডার ক্যামেরা বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্যবহৃত হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আর ঘটনা আর ঘটবে না।’
নর্কিয়া অবশ্য প্রথমে বুঝতে পারেননি, কিসের সঙ্গে তাঁর ধাক্কাটা লাগল, ‘আমি হঠাৎ ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি, কিসের সঙ্গে ধাক্কা খেলাম। আমি এখন ভালো আছি। বাঁ কাঁধ আর কনুইয়ে আঘাত পেয়েছি। তবে সেটি গুরুতর কিছু নয়। কাঁধে আর ব্যথা নেই, তবে কনুইয়ে ব্যথা রয়ে গেছে। আমি চোটটা পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি, কালই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
নর্কিয়া মনে করেন, স্পাইডার ক্যামেরা মাথার উচ্চতায় নামানো উচিত নয়, ‘এটা নিয়ে আগেও কথা হয়েছে যে কতটা নিচে স্পাইডার ক্যামেরা নামানো যেতে পারে। আমি মনে করি, এটা মাথার উচ্চতায় নামানো উচিত নয়। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। তবে এটা ভেবে দেখা উচিত।’