নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছিলেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। কিন্তু এক প্রান্ত একা আগলে রাখলেও, অন্য প্রান্তে পাননি কারও সঙ্গ। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও আর পার করা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্য।
বোলারদের দাপটে মাত্র তিন দিনে শেষ হওয়া ম্যাচটিতে ব্ল্যাকউডের ৭৯ রানের পরও লক্ষ্যের কাছাকাছি যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৫৯ রানে অল আউট হয়ে তারা হেরেছে ৮৭ রানে। এই হারে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে ৪ উইকেটে ৪৯ রানে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দিন বদলালেও বদলায়নি উইকেট পতনের ধারা। ৮০ রানে যেতে স্বাগতিক প্রোটিয়া হারায় ৮ উইকেট। এর মাঝে ওপেনার এইডেন মার্করামই শুধু দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। ম্যাচ বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ৪৭ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে অবশ্য সেঞ্চুরি করেছিলেন মার্করাম।
এই ওপেনারের পর ব্যাট করতে নামা পরের ৭ ব্যাটসম্যানের রান ছিল ‘টেলিফোন ডিজিট’! শেষ দিকে কাগিসো রাবাদা (১০) ও গেরাল্ড কোয়েতজে (২০) রান করলে কোনোরকমে ১১৬ রান করতে পারে প্রোটিয়ারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার কেমার রোচ নেন ৫ উইকেট। এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৪২ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ২১২ রান। জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৭ রানের।
লক্ষ্য খুব বড় না হলেও ৩৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে এক রকম ছিটকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রান্ত আগলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একাই টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন ব্ল্যাকউড। কিন্তু আর কতক্ষণ! শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে তাঁর প্রতিরোধও। নবম উইকেট হিসেবে ব্ল্যাকউড যখন আউট হন, তখন তাঁর রান ৯৩ বলে ৭৯।
ব্ল্যাকউড আউট হওয়ার পর স্কোরশিটে আর মাত্র ২ রান যোগ করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রোচকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় নিশ্চিত করেন ম্যাচে দুর্দান্ত বল করা কাগিসো রাবাদা। ৫০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন তিনি।