৫৯ বলে ৭৬ রান—টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ১২৮.৮১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি। তবে কোহলি নন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ৭ রানের জয়ে বোলারদের কারোরই সেরার স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল মনে করেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার বলেছেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে বোলাররাই কোহলিকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও মনে করেন এমনটাই। তাঁর মতে, শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ না হারলে কোহলির ইনিংসটি নিয়ে সমালোচনা হতো।
শনিবার বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অক্ষর প্যাটেল ও শিবম দুবের সঙ্গে দুটি বড় জুটি গড়েন কোহলি। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে কোহলি ব্যক্তিগত পঞ্চাশে পৌঁছাতে খেলেন ৪৮ বল। একই সময়ে অক্ষর ৪৭ রান করতে খেলেন ৩১ বল, দুবে ২৭ রান করতে ১৬ বল।
রান তাড়ায় জয়ের খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে যশপ্রীত বুমরা ও হার্দিক পান্ডিয়াদের দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ের কারণে শেষ ৩০ বলে ৩০ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। নাগালে থাকা ম্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে হেরে যায় ৭ রানে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান কোহলি।
বোলাররা ভালো বোলিং না করলে কোহলির ইনিংসটি কাজে আসত না বলে মনে করেন মাঞ্জরেকার। ইএসপিএনক্রিকইনফোর পোস্ট ম্যাচ শোতে তিনি বলেন, ‘(কোহলির) এমন একটা ইনিংসের কারণে হার্দিক পান্ডিয়ার সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান মাত্র দুটি বল খেলার সুযোগ পেল। ভারত ব্যাটিং ভালো করেছে। কিন্তু কোহলি এমন একটা ইনিংস খেলেছে, যেটা ভারতকে একেবারে এক কোনায় ঠেলে দিতে পারত। সেটা প্রায় হয়েও গিয়েছিল, কিন্তু বোলাররা এসে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
শেষ দিকে বুমরাদের বোলিংই ম্যাচ জিতিয়েছে মন্তব্য করে মাঞ্জরেকার বলেন, ‘ভারত হারের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৯০ শতাংশ। এরপর ম্যাচের মোড় ঘুরে যাওয়া আদতে কোহলির ইনিংসকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। কারণ, সে প্রায় অর্ধেক ইনিংস ব্যাট করে রান করেছে ১২৮ স্ট্রাইক রেটে। আমার চোখে ম্যাচসেরা বোলারদের কেউ। কারণ, ওরাই ম্যাচটা হারের মুখ থেকে টেনে এনে ভারতকে জিতিয়েছে।’
মাঞ্জরেকারের মতো একই মত জানান জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও, ‘ভারত যদি ওখানে আটকে যেত, কোহলির ব্যাটিং নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হতো। ম্যাচের বিরতিতে মনে হয়েছিল ভারত যথেষ্ট পুঁজিই তুলতে পেরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য তাড়া করা কঠিন ছিল।’