জাকের আলীকে নিয়ে কথা বলেছেন তাঁর স্ত্রী
জাকের আলীকে নিয়ে কথা বলেছেন তাঁর স্ত্রী

জাকেরকে নিয়ে শুটার স্ত্রী: আমরা এই দিনটার অপেক্ষায়ই ছিলাম

খেলোয়াড়ি পরিবার বলতে যা বোঝায়, ক্রিকেটার জাকের আলীর পরিবার ঠিক তেমনই। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাকের যখন ৩৪ বলে ৬৮ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলছিলেন, তখন সিলেটেরই ঘরের ছেলের খেলাটা মাঠে বসে সরাসরি দেখছিলেন জাকেরের বোন শাকিলা ববি। তিনি আবার খবরের কাগজ পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি। কাল কন্যাসন্তানকে নিয়ে প্রেস বক্সে বসেই ছোট ভাইয়ের খেলা দেখলেন। পরে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাকেরকে প্রশ্নও করেন তাঁর বড় বোন

শাকিলার স্বামী মামুন হোসেন একই পত্রিকার ফটো সাংবাদিক। শাকিলা আবার হবিগঞ্জ ক্রিকেট দলের অধিনায়কও ছিলেন। খেলাধুলাটা অবশ্য জাকেরের রক্তেই আছে। পাঁচ-ভাই বোনের মধ্যে চারজনই খেলাধুলা করেছেন। জাকেরের প্রয়াত বাবা বাংলাদেশ আর্মির অ্যাথলেট ছিলেন।

জাকেরের স্ত্রী নাফিসা তাবাসসুম জাতীয় পর্যায়ের শুটার। বাংলাদেশের শুটিংয়ে একদিক দিয়ে তিনিই প্রথম। আন্তর্জাতিক শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের (আইএসএসএফ) সরাসরি আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে প্রথম পদক জিতেছেন বিকেএসপির এই শুটার। কাল দিনাজপুরে নিজের বাড়িতে বসে স্বামীর খেলা দেখেছেন নাফিসা।

২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আইএসএসএফ গ্রাঁ প্রিতে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ জেতেন নাফিসা

আজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জাকেরকে লাল-সবুজে দেখার অনুভূতি জানিয়েছেন নাফিসা, ‘অবশ্যই বিষয়টা অনেক ভালো লাগছে। আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিল তাকে নিয়ে। সে একদিন জাতীয় দলে খেলবে। তার ম্যাচ অনেক ভালো হয়েছে। সে অনেক ভালো খেলেছে। যদিও তারা হেরে যায়। তারপরও অনেক ভালো খেলেছে। আমরা এতে অনেক খুশি।’

এই দিনটার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে, সে কথাও লুকালেন না নাফিসা, ‘আমরা সবাই এই দিনটারই অপেক্ষায় ছিলাম, কবে সে জাতীয় দলে খেলবে। কবে সে ভালো পারফরম্যান্স করবে। ওটাই কাল পূরণ হলো।’

দুজনই যেহেতু খেলার জগতের মানুষ, একজন আরেকজনকে অনুপ্রাণিত করার কাজটাও নিজেরা ভাগাভাগি করে নেন। নাফিসাই বলছিলেন, ‘যেহেতু স্পোর্টস পারসন দুজনই, আমরা একজন আরেকজনকে মোটিভেট করি। খারাপ সময়ে দুজন দুজনের…খেলার জগতে তো খারাপ সময় আসবেই। সেটা দুজন মিলে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করি।’

সতীর্থদের সঙ্গে জাকের আলীর স্ত্রী নাফিসা

বিকেএসপিতেই জাকের আর নাফিসার পরিচয়। প্রণয়ের শুরুও বিকেএসপি থেকে। পরে ২০২০ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়।