‘ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী’ মানকাডিং আউটকে সাধারণ রানআউটের স্বীকৃতি দিয়েছে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ১ অক্টোবর এ আইন চালু হয়েছে। সাধারণ রানআউটের স্বীকৃতি পাওয়ার পরও ‘ক্রিকেটীয় চেতনা বনাম ক্রিকেটীয় আইন’, সেই পুরোনো আলোচনা চলছেই। এ নিয়ে ক্রিকেটাররা ভাগ হয়ে যাচ্ছেন দুই ভাগে। এক দল এর পক্ষে, আরেক দল বিপক্ষে। ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া মানকাডিংয়ের পক্ষেই কথা বলেছেন।
নন-স্ট্রাইক প্রান্তে ব্যাটসম্যান আগেভাগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে তাঁকে আউট করা উচিত বলেই মনে করেন পান্ডিয়া। আইসিসি রিভিউতে তিনি বলেছেন, মানকাডিংয়ের সঙ্গে ক্রিকেটীয় চেতনার আলোচনা টানাটাই ভুল, ‘মানকাডিং নিয়ে এত হইচইয়ের কিছু নেই। এটা ক্রিকেটীয় আইন। কেউ যদি ক্রিকেটীয় চেতনার কথা ভেবে আউট না করে, সেটা তার ব্যাপার। ব্যক্তিগতভাবে আমার মোটেই সমস্যা নেই। আমি আগেভাগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলে সে ভুল শুধুই আমার।’
গত মাসে লর্ডসে ইংল্যান্ড ও ভারতের মেয়েদের শেষ ওয়ানডেতে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা শার্লি ডিনকে মানকাডিং আউট করেছিলেন ভারতের দীপ্তি শর্মা। দীপ্তির সৌজন্যেই এ আলোচনা নতুন করে ওঠে। জস বাটলার, বেন স্টোকস, মঈন আলীরা মানকাডিংয়ের বিপক্ষেই কথা বলেছেন। টক স্পোর্টসকে এ নিয়ে বাটলার বলেছিলেন, ‘(অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে এমন হলেও) আমি ব্যাটসম্যানকে ডেকে পাঠাব। ক্রিকেটে এটা কেউই দেখতে চায় না। কারণ, এমন কিছু ঘটলেই সেটা নিয়ে বিতর্ক হয়। ক্রিকেটে শুধু লড়াইটা ব্যাট-বলের মধ্যেই হওয়া উচিত।’
অন্যদিকে শুরু থেকেই মানকাডিংয়ের পক্ষে কথা বলেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।